নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুসারে, জেলায় ২৫০টি পারিবারিক ও বাণিজ্যিক হাঁসের খামার রয়েছে, যার মধ্যে ২১টি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। এই খামারগুলিতে ৭,৫৫,৮২৩ টি পাতিহাঁস এবং ১০,৮৫৫ টি রাজহাঁস পালন করা হয়। শতাধিক ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামারও রয়েছে, যেখানে অন্তত ৫ লক্ষ হাঁস পালিত হয়। হালতিবিল ও চলনবিল এলাকায় অনেকেই নিজ উদ্যোগে হাঁস পালন করছেন। প্রতিটি বাড়িতে গড়ে ৩০-৫০টি রাজহাঁস এবং ৪০-৮০টি পাতিহাঁস পালিত হয়। এই হাঁস পালনের ফলে জেলায় মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণে সহায়তা হচ্ছে। নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ড. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন জানান, শামুক-ঝিনুক, পোকামাকড়, ভুসি ও ভাত খাওয়ালে হাঁস পালন সহজ এবং লাভজনক হয়। জেলার ডিমের চাহিদা ১৯ কোটি ২৪ লাখ পিস, উৎপাদন ৪৫ কোটি ৭৮ লাখ পিস (৫৮৫ কোটি টাকা মূল্য)। মাংসের চাহিদা ১,২৫,৩০৮ মেট্রিক টন, উৎপাদন ১,২১,০০০ মেট্রিক টন। প্রাণিসম্পদ বিভাগ গ্রামীণ নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালনে উৎসাহিত করছে।
নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস
মূল তথ্যাবলী:
- নাটোর জেলায় ২৫০টির বেশি হাঁসের খামার রয়েছে।
- ৭ লাখের বেশি পাতিহাঁস ও ১০ হাজারের বেশি রাজহাঁস পালিত হয়।
- হালতিবিল ও চলনবিলের নারীরা হাঁস পালনে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
- জেলার ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে হাঁস পালন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
- প্রাণিসম্পদ বিভাগ গ্রামীণ নারীদের প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ দিচ্ছে।
গণমাধ্যমে - নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস হাঁস পালনে সহায়তা করছে।