নওশের আলী

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

সৈয়দ নওশের আলী (১৮৯০-১৯৭২): একজন বিশিষ্ট আইনবিদ ও রাজনীতিবিদ

সৈয়দ নওশের আলী বাংলার ইতিহাসে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ১৮৯০ সালের আগস্ট মাসে নড়াইল জেলার মির্জাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী নওশের আলী তার প্রাথমিক শিক্ষা মির্জাপুর ও দৌলতপুরে শেষ করার পর কলকাতা সিটি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি আইন পেশায় যুক্ত হন এবং ১৯২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইন চর্চা শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে তিনি নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট হন।

তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় ১৯২০-এর দশকের প্রারম্ভে কংগ্রেস দলের সদস্য হিসেবে। ১৯২৭ সালে তিনি যশোর জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং প্রায় এক দশক এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৩৭ সালে বঙ্গীয় আইনসভার নির্বাচিত সদস্য ছিলেন এবং এ.কে. ফজলুল হকের কোয়ালিশন সরকারে স্থানীয় সরকার ও জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। কৃষক প্রজা পার্টিতে যোগদান ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক কৃষক সভার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।

১৯৪১ সালে পুনরায় কংগ্রেসে ফিরে আসেন নওশের আলী। ১৯৪২ সালে তিনি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্য হন এবং আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য কারাবরণ করেন। তিনি ‘সহচর’ সাপ্তাহিকের সম্পাদক ও ‘দৈনিক কৃষক’-এর পরিচালক ছিলেন। ‘পিপলস রিলিফ কমিটি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আই.এন.এ. ত্রাণ তহবিলের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।

১৯৪৩ সালে তিনি প্রগতিশীল কোয়ালিশন পার্টির প্রার্থী হিসেবে আইনসভার স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। ভারত বিভাগের পর কলকাতায় বসবাস করেন এবং ভারতের রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। কংগ্রেসের সঙ্গে মতবিরোধের পর তিনি বামপন্থী রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং পশ্চিমবঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ করেন।

নওশের আলী ছিলেন নীতিবান এবং বঞ্চিত শ্রেণীর প্রতি সমর্পিত একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭২ সালের ৬ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • সৈয়দ নওশের আলী একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন।
  • তিনি কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আইন চর্চা করেছেন।
  • কংগ্রেস, কৃষক প্রজা পার্টি ও বামপন্থী রাজনীতিতে তিনি সক্রিয় ছিলেন।
  • যশোর জেলা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বঙ্গীয় আইনসভার স্পিকার ছিলেন।
  • তিনি আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং কারাবরণ করেছিলেন।
  • সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্য ছিলেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - নওশের আলী

৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

শ্যামকুড় এলাকায় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।