নওগাঁর মহাদেবপুর

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫০ পিএম

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা: ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও বর্তমান অগ্রযাত্রা

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত নওগাঁ জেলার একটি প্রশাসনিক উপজেলা হলো মহাদেবপুর। বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত এই উপজেলা ৩৯৭.৬৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের। ইতিহাসের গর্ভে সমৃদ্ধ এই অঞ্চল খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয়-চতুর্থ শতকে পুণ্ড্রনগর নামক সভ্যতার কেন্দ্রস্থল ছিল বলে ধারণা করা হয়।

ভৌগোলিক অবস্থান:

মহাদেবপুর উপজেলা ২৪˚৪৮' থেকে ২৫˚০১' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮˚৩৮' থেকে ৮৮˚৫৩' পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এটি নওগাঁ জেলা সদর থেকে ২৪ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং ঢাকা থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উত্তরে পত্নীতলা, দক্ষিণে মান্দা ও নওগাঁ সদর, পূর্বে বদলগাছী ও নওগাঁ সদর, এবং পশ্চিমে নিয়ামতপুর ও পোরশা উপজেলা অবস্থিত। আত্রাই নদী এই উপজেলায় প্রবাহিত হয়।

জনসংখ্যা ও জনগোষ্ঠী:

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, মহাদেবপুর উপজেলার জনসংখ্যা ছিল ২,৯২,৮৫৯ জন। এখানকার অধিবাসীদের বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে।

অর্থনীতি:

মহাদেবপুরের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, গম, আলু, আখ ইত্যাদি এখানকার প্রধান কৃষি ফসল। এছাড়াও বেশ কিছু চাউল কল, ভাটা, পেট্রল পাম্প, ইত্যাদি রয়েছে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য:

শিক্ষার হার ৪৯.৮%। উপজেলায় ১২টি মহাবিদ্যালয়, ৪৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৮টি মাদ্রাসা এবং ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য রয়েছে ১টি সরকারি হাসপাতাল এবং অন্যান্য ক্লিনিক।

প্রশাসন:

মহাদেবপুর থানা ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এটি ১০টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত।

ঐতিহাসিক ঘটনা:

মুক্তিযুদ্ধের সময় মহাদেবপুর ৭ নং সেক্টরের অধীনে ছিল। পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হয়েছিল এ অঞ্চল। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গণকবর ও বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে।

উল্লেখযোগ্য স্থান:

মহাদেবপুরে আদ্যাবাড়ী মন্দির, প্রাচীন বাসাবাড়ি ইত্যাদি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে।

আমরা আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে। ভবিষ্যতে আরও তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • মহাদেবপুর উপজেলা নওগাঁ জেলার অন্তর্গত।
  • খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয়-চতুর্থ শতকে পুণ্ড্রনগর নামক সভ্যতার কেন্দ্র ছিল।
  • মূলত কৃষি নির্ভর অর্থনীতি।
  • মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার শিকার হয়েছিল।
  • আদ্যাবাড়ী মন্দির, প্রাচীন বাসাবাড়ি ইত্যাদি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।