ধাওয়া: অর্থ, ব্যবহার ও উৎপত্তি
বাংলা ভাষায় ‘ধাওয়া’ শব্দটির বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে। এটি একটি ক্রিয়া হিসেবে দ্রুত ছোটা, তাড়া করা, অনুসরণ করার অর্থ বহন করে। আবার বিভিন্ন প্রসঙ্গে এটি জনসমাবেশ, হিংসাত্মক ঘটনা, জনরোষ প্রভৃতির বর্ণনায়ও ব্যবহৃত হয়। এই লেখায় আমরা ‘ধাওয়া’ শব্দের বিভিন্ন অর্থ ও ব্যবহারের দিকগুলি তুলে ধরার চেষ্টা করব।
ধাওয়ার শব্দতাত্ত্বিক উৎপত্তি: ‘ধাওয়া’ শব্দটি প্রাকৃত ‘𑀥𑀸𑀯𑀇’ (dhāvaï) থেকে এসেছে, যার উৎস সংস্কৃত ‘धावति’ (dhāvati, “to run, flee”)। এর উৎস আরও গভীরে প্রোটো-ইন্দো-আর্য ‘dʰā́wati’, প্রোটো-ইন্দো-ইরানীয়ান ‘dʰā́wati’, প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপীয় ‘dʰéw-e-ti’, এবং ‘dʰew-’ (“to run, flow”) শব্দে মিলে যায়। ‘ধাওয়া’ শব্দের সংস্কৃত নামধারী রূপ হলো ‘ধাব’ (dhāva), যা ‘ধাবতি’ থেকে উৎপন্ন। ‘ধাওয়া’ শব্দের সমার্থক শব্দ হিসাবে ‘ধাবন’, ‘উধাও’, ‘ধোয়া’, ‘ধোবা’ এবং ‘ধোপা’ উল্লেখযোগ্য।
ধাওয়া'র বিভিন্ন ব্যবহার:
- ক্রিয়া হিসেবে: কাউকে বা কিছুকে দ্রুত অনুসরণ করা (যেমন, ‘চোরকে ধাওয়া করা’), পশুকে তাড়া করা (যেমন, ‘শিকারীরা হরিণকে ধাওয়া করে’), দ্রুত ছোটা (যেমন, ‘ট্রেন ধাওয়া করে চলে গেল’)।
- নাম হিসেবে: ধাওয়া শব্দটি জনসমাবেশ, উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি, জনরোষ, হিংসাত্মক ঘটনা, অশান্তি প্রভৃতির বর্ণনায় ব্যবহৃত হতে পারে। (যেমন, ‘গ্রামে একটা বড় ধাওয়া পড়ে গেছে’)। এক্ষেত্রে ঘটনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ অপরিহার্য।
উদাহরণ:
- ‘চোর ধাওয়া করলে পুলিশ দ্রুত তাকে ধরে ফেলল।’
- ‘নির্বাচনের ফলাফলে জনরোষের একটা বড় ধাওয়া পড়ে গেছে।’
আরও তথ্য: ‘ধাওয়া’ শব্দের ব্যবহার এর প্রসঙ্গ অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। এই শব্দটির সুনির্দিষ্ট অর্থ বুঝতে ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ জানা প্রয়োজন। আমরা ‘ধাওয়া’ শব্দটির ব্যবহার সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য একত্রিত করার চেষ্টা করছি এবং ভবিষ্যতে এই লেখাটি আপডেট করব।