দেবিদ্বার, কুমিল্লা: একটি উপজেলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত কুমিল্লা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হল দেবিদ্বার। গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত এই উপজেলা ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ। ১৯১৭ সালের ১৫ই জুলাই প্রতিষ্ঠিত এই উপজেলার নামকরণের পিছনে তিনটি প্রচলিত মত রয়েছে: একটি মতে, দেবীকোটের রাজ পরিবারের নামানুসারে; আরেকটি মতে ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন জন ডেভিডের সাথে যুদ্ধের (ডেভিড ওয়ার) স্মৃতি রেখে; এবং শেষ মতে, এখানে অসংখ্য দেব-দেবীর পূজা-অর্চনা হওয়ার কারণে।
দেবিদ্বারের আয়তন প্রায় ৩২৩.৬২ বর্গ কিলোমিটার এবং ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী জনসংখ্যা প্রায় ৪৩১,৩৫২ জন। এই উপজেলা ১টি পৌরসভা এবং ১৫টি ইউনিয়নে বিভক্ত। দেবিদ্বারের অর্থনীতি মূলত কৃষি, মৎস্যচাষ এবং প্রবাসী আয়ের উপর নির্ভরশীল। উল্লেখযোগ্য মৎস্য খামারগুলির মধ্যে প্রভাতী ফিসারিজ বড়শালঘড় অন্যতম।
দেবিদ্বার ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্যও পরিচিত। গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ এই উপজেলার উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন। এছাড়াও, দেবিদ্বারের পরম্পরাগত শিল্প, সংগীত, নৃত্য ও হস্তশিল্প এই উপজেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করে। তাত্ত্বিক নদীর তীরে অবস্থিত এই উপজেলায় নৌকাভ্রমণ, মৎস্যচাষ, বনভোজন সহ বিভিন্ন পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে।
দেবিদ্বারের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং মাদ্রাসা উল্লেখযোগ্য। স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে। দেবিদ্বারের যোগাযোগ ব্যবস্থায় পাকা রাস্তা, অর্ধ-পাকা রাস্তা এবং কাঁচা রাস্তা সহ নদীপথ ও রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এই উপজেলার অর্থনীতিতে গতি আনা সম্ভব হচ্ছে।
আধুনিক যুগে, দেবিদ্বার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন অভিজ্ঞতা করছে, যার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নয়ন, টেলিযোগাযোগ পরিষেবা এবং ইন্টারনেট সুবিধা উল্লেখযোগ্য। এই সকল উন্নয়ন এই উপজেলার জনসংখ্যার জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে, দেবিদ্বার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন হলে আমরা পরবর্তীতে আপডেট জানিয়ে দেব।