তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি: বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বৃহত্তর ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত এই প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় এবং পেট্রোবাংলার অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর যৌথ তহবিল কোম্পানী হিসেবে যাত্রা শুরু করে তিতাস। ১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সূচনা হয়। ১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে বিরাট গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হওয়ার পর ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস-ডেমরা সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মিত হয়। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমান এর বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ৯০% শেয়ার সরকারের মালিকানায় ছিল। ১৯৭২ সালে জাতীয়করণের পর বাকি শেয়ারও সরকারের অধীনে আসে। ১৯৭৫ সালে শেল অয়েল কোম্পানীর সাথে চুক্তির মাধ্যমে অবশিষ্ট ১০% শেয়ারও সরকারের মালিকানায় আনা হয়। বর্তমানে কোম্পানীর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে ২০০০ কোটি ও ৯৮৯.২২ কোটি টাকা। তিতাস গ্যাসের প্রধান লক্ষ্য হলো দক্ষ ও নিরাপদ গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা। তাদের কার্যক্রম বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ জুড়ে বিস্তৃত।
তিতাস গ্যাস
মূল তথ্যাবলী:
- তিতাস গ্যাস: ঢাকা ও ময়মনসিংহের গ্যাস সরবরাহকারী
- ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা
- ১৯৬৮ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার
- সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান
- প্রাকৃতিক গ্যাসের দক্ষ ও নিরাপদ বিতরণ