তানভীর আলম সজীব: একজন সংগীতশিল্পী, সুরকার ও গীতিকারের জীবনযাত্রা
তানভীর আলম সজীব বাংলাদেশের একজন প্রতিভাবান সংগীতশিল্পী, সুরকার এবং গীতিকার। ১৯৭৫ সালের ১০ এপ্রিল বগুড়া জেলায় তার জন্ম। তিনি শৈশব থেকেই সংগীতে আগ্রহী ছিলেন এবং ১৯৭৯ সালে বগুড়া ইয়ুথ কয়ারের হয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রথম একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তার সংগীত জীবনের যাত্রা অত্যন্ত গতিশীল। তিনি কোন নির্দিষ্ট ঘরানায় আটকে না থেকে, শাস্ত্রীয়সহ সঙ্গীতের নানা মাধ্যমে অবাধ পদচারণা করেছেন।
১৯৮৬ সালে তার মা তাকে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেন, যেখান থেকে তিনি নজরুল ও শাস্ত্রীয় সংগীতে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। নচিকেতা এবং কবীর সুমনের গান তাকে তরুণ বয়সে তীব্রভাবে প্রভাবিত করেছিল। ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে তিনি আমেরিকা যান এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং-এর উপর পড়াশোনা করেন। তার প্রথম অ্যালবাম “সাধারণ একদিন” নিউইয়র্কে থাকাকালীন প্রকাশিত হয়। ১৯৯৮ সালে তিনি পরিবারের সাথে কানাডার টরেন্টোতে চলে যান এবং সেখানে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
শংকর সাঁওজালের লেখা এবং তানভীর আলম সজীবের সুর করা “কবে যাবো পাহাড়ে, আহারে” গানটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। তিনি বর্তমানে চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করছেন, গানে কণ্ঠ দিচ্ছেন এবং টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন। তিনি নতুন প্রজন্মের সংগীতশিল্পী তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তার অ্যাকা পেলা ব্যান্ড “কয়্যার বাংলা” ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম “নতুন করে পাওয়া” মুক্তি পায়। সম্প্রতি তিনি কাজী নজরুল ইসলামের “কারার ঐ লৌহ-কবাট” গানটি নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করেছেন। তাঁর পঞ্চম একক অ্যালবাম “মালহার” ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পেয়েছে। এই অ্যালবামে নিভৃতচারী কবি ও আবৃত্তিকার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লা আল মামুনের কবিতায় সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তানভীর আলম সজীবের সংগীত জীবন অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী। তিনি সংগীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার স্বপ্ন দেখেন। আরও তথ্য পাওয়া গেলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।