তানজিলা আহমেদ

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বরগুনার বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদের বিরুদ্ধে প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নতমানের ধান, পাট ও বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণের ২৮টি প্রকল্পের নামে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। রাজস্ব খাত থেকে এক কোটি ৫৪ লাখ ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করা হলেও কোন প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা হয়নি। এছাড়া, একই জমিতে একাধিকবার বিভিন্ন প্রদর্শনীর শুধু সাইনবোর্ড ঝুলিয়েই এক কোটি ২৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ‘রবি, আউশ ও আমনের প্রদর্শনী’, ‘পতিত জমি ও বাড়ির আঙিনায় সবজি ও পুষ্টি বাগান’ এবং ‘কন্দাল ফসল ও ফলদ বাগান’ এর মতো অর্ধশতাধিক প্রদর্শনীর কার্যক্রম কাগজে-কলমে শেষ করা হলেও, কৃষকরা এসব প্রদর্শনীর সাইনবোর্ড ছাড়া কিছুই দেখেননি। কৃষকদের প্রশিক্ষণের নামেও তিন কোটি টাকার বেশি উত্তোলন করা হয়েছে, প্রশিক্ষণ না দিয়েই কৃষকদের স্বাক্ষর জাল করে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রণোদনার ৫২ লাখ ৯৫ হাজার ৭০০ টাকাও আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কৃষকরা জানিয়েছেন যে, তারা এসব বরাদ্দের বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং তাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। হোসনাবাদ ইউনিয়নের কৃষক মহসিন হাওলাদারের উক্তি অনুযায়ী, তার নামও তালিকায় ছিল, কিন্তু তিনি কোন প্রশিক্ষণ বা সাহায্য পাননি। তানজিলা আহমেদ দাবি করেছেন যে, তালিকাভুক্ত কৃষক ছাড়া কাউকে উপকরণ দেওয়া হয় না এবং কৃষকরা যদি কোন উপকরণ না পেতেন তাহলে অভিযোগ করতে পারতেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী জানিয়েছেন যে, বিষয়টি তদন্ত করে অনিয়ম পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • তানজিলা আহমেদের বিরুদ্ধে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
  • ২৮টি কৃষি প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাৎ
  • কৃষকদের স্বাক্ষর জালিয়াতি
  • ভুয়া প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর আয়োজন
  • উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্তের আশ্বাস

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।