তথ্য মন্ত্রণালয়

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়: বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও তথ্য ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রবিন্দু

বাংলাদেশ সরকারের অধীনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় দেশের তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতার পর থেকে 'তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়' নামে পরিচিত হলেও, পরবর্তীতে 'তথ্য মন্ত্রণালয়' এবং ২০২১ সালে আবার 'তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়' নামে পুনঃনামকরণ করা হয়। এই মন্ত্রণালয় দেশের তথ্য সম্পদের উন্নয়ন, সংরক্ষণ, নিরাপদ প্রবাহ, এবং অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। এর কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন আইন ও বিধি প্রণয়ন, এবং তথ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়ন।

মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন অধিদপ্তর ও প্রতিষ্ঠান কাজ করে, যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হলো কৃষি তথ্য সেবা (AIS)। ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত AIS গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষি উন্নয়নে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রসারের মাধ্যমে কাজ করে। ঢাকার ফার্মগেটের খামারবাড়িতে এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে এর আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।

তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-এর মাধ্যমে জনগণের তথ্য লাভের অধিকারকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই আইন সরকারি তথ্য জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য করার ব্যবস্থা করেছে এবং তথ্য কমিশনের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি জনগণকে তথ্যের অধিকার প্রদানের পাশাপাশি দেশের গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ড দেশের তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার দিকে নির্দেশিত থাকবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
  • কৃষি তথ্য সেবা (AIS) গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষি উন্নয়নে অবদান রাখে।
  • তথ্য অধিকার আইন জনগণের তথ্য লাভের অধিকার নিশ্চিত করে।
  • মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট গণমাধ্যম, আইন প্রণয়ন ও তথ্য ব্যবস্থাপনাকে জড়িত।