ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
ড মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম
ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম

ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশি কৃষিবিজ্ঞানী, উদ্ভিদ প্রজননবিদ এবং কৃষি গবেষক। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার উদ্ভাবিত উল্লেখযোগ্য ধানের জাতগুলির মধ্যে রয়েছে বিনা-৮ (২০১০), বিনা-১০ (২০১২), বিনা-১১, এবং বিনা-১২। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)-এর সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেমন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান (উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ)। ২০২০ সালের মার্চ মাসে তিনি বিনা'র মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম ১৯৬৫ সালের ২০ মে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার আগচারান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি (১৯৮০) এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি (১৯৮৩) পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি কৃষিতে স্নাতক (অনার্স) (১৯৮৭) এবং জেনেটিকস অ্যান্ড প্লান্ট ব্রিডিং এ স্নাতকোত্তর (১৯৮৮) ডিগ্রি লাভ করেন। ফিলিপাইনের লস ব্যানোস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (২০০৪) এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (২০১৪) পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন।

তার গবেষণার ক্ষেত্র ছিল বেশ ব্যাপক। তিনি খরা, বন্যা, এবং লবণাক্ততা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার তত্ত্বাবধানে ৫৮ জন এমএস এবং ১০ জন পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ১৫টি আন্তর্জাতিক এবং ৮টি জাতীয় প্রকল্পের প্রধান গবেষক/প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার গবেষণা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার গবেষণা পুস্তক, প্রবন্ধ এবং শতাধিক মৌলিক প্রকাশনা রয়েছে। ড. মির্জার স্ত্রী ড. শামছুন্নাহার বেগম (লুনা) একই প্রতিষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বাবা একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক ছিলেন এবং ছোট চাচা মির্জা মাজহারুল ইসলাম ছিলেন একজন খ্যাতিমান শল্যচিকিৎসক, মুক্তিযোদ্ধা এবং ভাষা সৈনিক।

মূল তথ্যাবলী:

  • জলবায়ুসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান
  • বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)-এর মহাপরিচালক
  • ৫৮ জন এমএস ও ১০ জন পিএইচডি তত্ত্বাবধান
  • ১৫ টি আন্তর্জাতিক ও ৮ টি জাতীয় প্রকল্পের প্রধান গবেষক
  • বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।