ডিঙ্গা ডিঙ্গা ভাইরাস

উগান্ডার বুন্দিবুগিও জেলায় একটি রহস্যময় নতুন সংক্রমণ ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগে আক্রান্তদের প্রধান লক্ষণ হলো তীব্র জ্বর এবং শরীরে নিয়ন্ত্রণহীন কাঁপুনি, যা ‘নাচের মতো শরীর নড়াচড়া’ করার সাথে তুলনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনশ’র বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও কিশোরী। ২০২৩ সালে প্রথমবার এই রোগের কথা জানা যায়। আক্রান্তদের জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ব্যথা, এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। চিকিৎসা হিসেবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অনেকে ভেষজ পদ্ধতিও ব্যবহার করছেন, যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সংক্রমণ রোধে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং আক্রান্তদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। রোগের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান চলছে এবং আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ১৫১৮ সালের ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গের ‘ড্যান্সিং প্লেগ’-এর সাথে ডিঙ্গা ডিঙ্গার উপসর্গের মিল দেখা যাচ্ছে। কঙ্গোতেও একই সময়ে অন্য একটি অজানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, যা উগান্ডার স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বর্তমানে বুন্দিবুগিও জেলার বাইরে এই সংক্রমণ ছড়ায়নি বলে জানা গেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • উগান্ডার বুন্দিবুগিও জেলায় ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ নামে একটি রহস্যময় রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
  • তিনশ’র বেশি মানুষ আক্রান্ত, যাদের অধিকাংশই নারী ও কিশোরী।
  • প্রধান লক্ষণ: তীব্র জ্বর, শরীরে কাঁপুনি।
  • মৃত্যুর কোনো খবর নেই।
  • কারণ অনুসন্ধান ও চিকিৎসা চলছে।