ডাইফ: বাংলাদেশের শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কল্যাণের অগ্রদূত
ডাইফ, অর্থাৎ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (Department of Inspection for Factories and Establishments - DIFE), বাংলাদেশের শ্রম আইন প্রয়োগ, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও শিল্প সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর কনভেনশন ৮১ এর আলোকে প্রতিষ্ঠিত, এই অধিদপ্তর শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, নিরাপদ ও ন্যায্য কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে।
ডাইফের উল্লেখযোগ্য দিক:
- শ্রম আইন প্রয়োগ: ডাইফ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করে।
- কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা: কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ডাইফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ, ও সুরক্ষা সম্পর্কিত বিধি মেনে চলা নিশ্চিত করে।
- পেশাগত স্বাস্থ্য: শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ডাইফ কাজ করে। পেশাগত রোগ প্রতিরোধ, এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ সৃষ্টির জন্য নিরন্তর কাজ করে যায়।
- শ্রমিকদের কল্যাণ: শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ রক্ষায় ডাইফ কাজ করে। নিম্নতম মজুরি প্রয়োগ, ছুটির সুবিধা প্রদান, ও অন্যান্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে।
- ডিজিটালাইজেশন: ২০১৮ সাল থেকে লেবার ইন্সপেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন (লিমা) ব্যবহার করে শ্রম পরিদর্শনের তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণকে ডিজিটালাইজড করছে ডাইফ।
- ডাইফ অফিসার্স এসোসিয়েশন (ডিওএ): শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০১৪ সালে ডাইফ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ডাইফ অফিসার্স এসোসিয়েশন। এটি ডাইফ কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতা, শিক্ষা ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করে।
গঠন: ডাইফের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। দেশব্যাপী ৩১টি জেলায় এর উপমহাপরিদর্শকের কার্যালয় রয়েছে।
ভবিষ্যৎ: ডাইফ নিরাপদ ও ন্যায্য কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অধিকতর দক্ষতা বৃদ্ধি করে কাজ করে যাচ্ছে।
সংস্পর্শ: অধিক তথ্যের জন্য ডাইফের ওয়েবসাইট ও ফোন নম্বর যোগাযোগ করা যেতে পারে।