ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের একটি অগ্রণী বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১৯৯৯ সালের মে মাসে নিবন্ধিত এবং জুলাই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে, একই বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকালে এর অনুমোদিত মূলধন ছিল ১০০০ মিলিয়ন টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ছিল ২০০ মিলিয়ন টাকা। ২০০৭ সালে আইপিও'র মাধ্যমে মূলধন বাজারে প্রবেশ করে ব্যাংকটি ৪৬৭ মিলিয়ন টাকা সংগ্রহ করে। পরিশোধিত মূলধনের ৫০% আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট (গ্রুপ এ) এবং অবশিষ্ট ৫০% সাধারণ শেয়ারহোল্ডার (গ্রুপ বি) কর্তৃক পরিশোধিত।
ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট-এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি একটি স্ব-শাসিত ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর ১৫১ টি শাখা এবং ১৯৫১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিল। ট্রাস্ট ব্যাংক সকল ধরণের বাণিজ্যিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং আমানত সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। তারা ট্রাস্ট টার্গেট, ট্রাস্ট ডাবল ডিপোজিট স্কিম এবং ট্রাস্ট ডিপোজিট ইন্সুরেন্স স্কিম সহ বিভিন্ন আমানত স্কিম চালু করেছে। এছাড়াও, ফিক্সড ডিপোজিট রিসিপ্ট (এফডিআর), ট্রাস্ট স্মার্ট সের্ভাস স্কিম (টিএসএস), ট্রাস্ট দ্বিগুণ লাভ স্কিম (টিডিএলএস) ইত্যাদি স্কিম গ্রাহকদের জন্য চালু আছে।
ট্রাস্ট ব্যাংক ২০০৬ সাল থেকে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা, ২০০৮ সাল থেকে মার্চেন্ট ব্যাংকিং এবং ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। ব্যাংকের সমস্ত মুনাফা আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের কল্যাণমূলক কাজে বিনিয়োগ করা হয়। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনেও ব্যাংকটির নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সহজ শর্তে ঋণ সুবিধাও প্রদান করে থাকে। ব্যাংকটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অর্থ ও ব্যবসা কেন্দ্রে কার্যরত ২১টি বিদেশি ব্যাংকের সাথে করেসপন্ডেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ২০২০ সালে ব্যাংকের আমানত ও ঋণ অগ্রিমের অংশ ছিল ব্যাংকিং খাতের মোট আমানত ও ঋণ অগ্রিমের যথাক্রমে ১.৯% এবং ১.৯%।