টেলিনর

টেলিনর: নরওয়ের এক টেলিযোগাযোগ জায়ান্টের অসাধারণ যাত্রা

টেলিনর এএসএ (OSE: TEL), নরওয়ের একটি বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি, যার সদর দপ্তর অসলোর কাছে ব্যারাম পৌরসভার ফরনেবুতে অবস্থিত। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটি ১৮৫৫ সালে 'টেকিগ্রাফভারকেট' নামে টেলিগ্রাফ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৮৭৮ সালে টেলিফোন সেবা যুক্ত হলে এর পরিধি আরও ব্যাপক হয়। ১৯৭০ সালে নাম পরিবর্তন করে টেলিনর রাখা হয়। ২০০০ সালে আংশিক বেসরকারিকরণের মাধ্যমে অসলো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। নরওয়ে সরকারের ৫৪.৩% শেয়ারের মালিকানা রয়েছে।

টেলিনরের বৈশ্বিক উপস্থিতি বিরাট। এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ১৩টি দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ২৯টি দেশে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে এই প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের গ্রামীণফোনের ৫৫.৮% শেয়ারের মালিক টেলিনর। ১৯৯৩ সালে GSM প্রযুক্তি ও ২০০৪ সালে ৩জি প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে। অসলো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে টেলিনরের বাজার মূল্য ২২৫ বিলিয়ন নরওয়েজীয় ক্রোন, যা তৃতীয় বৃহত্তম।

টেলিনর শুধুমাত্র একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়; বরং এটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের এক মাইলফলক। এর ইতিহাস এবং বর্তমান সম্প্রসারণ টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান। আগামীতে টেলিনর আরও নতুন প্রযুক্তি ও সেবা নিয়ে আমাদের জীবনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে তা নিশ্চিত।

মূল তথ্যাবলী:

  • টেলিনর ১৮৫৫ সালে টেলিগ্রাফ সেবা দিয়ে যাত্রা শুরু করে।
  • ২০০০ সালে আংশিক বেসরকারিকরণ ও অসলো স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তি।
  • নরওয়ে সরকারের ৫৪.৩% শেয়ারের মালিকানা।
  • গ্রামীণফোনের ৫৫.৮% শেয়ার টেলিনরের মালিকানাধীন।
  • এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার ১৩টি দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক।