টেরেসা মে

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
নামান্তরে:
থেরেসা মে
Theresa May
তেরেসা মে
টেরিজা মে
টেরেসা মে

টেরেসা মেরি মে (Theresa Mary May): ব্রিটেনের ইতিহাসে মার্গারেট থ্যাচারের পর দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। ১ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে সাসেক্সের ইস্টবোর্নে জন্মগ্রহণকারী টেরেসা মে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন এক-জাতীয় রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ এবং উদার রক্ষণশীল দর্শনের অধিকারী। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেইডেনহেডের সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে কমন্স সভায় প্রতিনিধিত্ব করেন। তার আগে ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন।

অক্সফোর্ডশায়ারে বেড়ে ওঠা টেরেসা মে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন অক্সফোর্ডশায়ার প্রাইমারী ও গ্রামার স্কুলে। পরে স্বায়ত্তশাসিত ক্যাথলিক স্কুলে এবং হুইটলির হোল্টন পার্ক গার্লস গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট হিউজেস কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে ভূগোলে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং অর্থ ছাড়সংক্রান্ত বিভাগে কর্মরত থাকার পর, তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেন।

১৯৯৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে মেইডেনহেড থেকে কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন ছায়া মন্ত্রিপরিষদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০২ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ছিলেন।

২০১০ সালে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১২ সালে মহিলা এবং সমতায়ন মন্ত্রীও ছিলেন। ২০১৫ সালের নির্বাচনের পর পুনরায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে সবচেয়ে বেশি সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার রেকর্ড গড়েন।

২০১৬ সালের ইইউ গণভোটের পর ডেভিড ক্যামেরনের পদত্যাগের পর, তিনি রক্ষণশীল দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১৩ জুলাই ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করেন, একটি সংক্ষিপ্ত নির্বাচন ঘোষণা করেন (২০১৭), এবং ইইউ সাথে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন।

টেরেসা মের ব্রেক্সিট নীতি, অভিবাসন নীতি, এবং সমলিঙ্গ বিবাহ সম্পর্কিত মতামত রাজনৈতিকভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৮০ সালে ফিলিপ জন মে'র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, এবং তাদের কোন সন্তান নেই। ২০১৩ সালে তার টাইপ-১ ডায়াবেটিসের কথা জানা যায়। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাজ শেষ করার পর, তিনি ২০২৪ সালে সংসদ সদস্য পদ থেকে অবসর নেন এবং বারোনেস মে অব মেইডেনহেড উপাধিতে ভূষিত হন।

তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে মেইডেনহেড থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন এবং ২০১০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ব্রিটেনের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী
  • ২০১৬-২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী
  • ২০১০-২০১৬ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • মেইডেনহেডের সংসদ সদস্য
  • ব্রেক্সিট নীতির জন্য পরিচিত
  • এক-জাতীয় রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।