ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) শুধু একটি ভবন নয়, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক চেতনার প্রতীক। ১৯৬২ সালে বিশিষ্ট গ্রিক স্থপতি কন্সটেন্টিনোস এপোস্তলো ডক্সিয়াডিস এর নকশায় নির্মিত এই ভবনটি শাহবাগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত। ডক্সিয়াডিস বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্য ও আবহাওয়াকে ধরার চেষ্টা করেছিলেন টিএসসি নকশা করার সময়। এর কেন্দ্রীয় উঠান, 'বাটারফ্লাই ক্যানপি' ও জালির ব্যবহার এর স্থাপত্য শৈলীকে অনন্য করে তুলেছে। ১৭০ ফুট লম্বা ও ৮৫ ফুট চওড়া অর্ধবৃত্তাকার অডিটরিয়াম, পাঠাগার, ছাত্র সংগঠনের কক্ষ, খাবারের জায়গা, খেলার কক্ষ এবং এমনকি একটি সুইমিংপুলও এই ঐতিহাসিক কেন্দ্রে অবস্থিত। টিএসসি শুধুমাত্র একাডেমিক কার্যক্রমের কেন্দ্র নয়, এটি ছাত্র-শিক্ষকদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপের ও মিলনস্থল। দীর্ঘদিন ধরে এটি বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলনের সাক্ষী ও কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি টিএসসির উন্নয়ন নিয়ে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। তবে ভবনটি ভেঙে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং এ নিয়ে ব্যাপক বিরোধিতা ও প্রতিবাদ জারি থাকে। টিএসসি রক্ষার জন্য ছাত্র-শিক্ষক এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে একটি বৃহৎ আন্দোলন গড়ে উঠেছে। তাদের দাবী এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য সম্পদটি সংরক্ষণ করা হোক।
টিএসসি
মূল তথ্যাবলী:
- টিএসসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য
- ১৯৬২ সালে গ্রিক স্থপতি ডক্সিয়াডিস কর্তৃক নকশা
- ছাত্র-শিক্ষকদের সামাজিক ও একাডেমিক কেন্দ্র
- সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক
- ঐতিহ্য রক্ষায় ব্যাপক জনমত