পঞ্চগড়ের প্রিয়ন্তী রায় প্রমি নামে এক কিশোরীর ভারতে অবৈধ প্রবেশ ও পরবর্তী ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রচারের ঘটনায় জয়দেব চন্দ্র রায়ের পরিবারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে। প্রিয়ন্তী রায় প্রমি (যাকে ভারতীয় গণমাধ্যমে অর্পিতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে) পঞ্চগড়ের উত্তর জালাসি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং জয়দেব চন্দ্র রায় ও অনুরাধা রানীর কন্যা। গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর ২০২৪) রাতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় তিনি বিএসএফের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে তাকে কোচবিহারের শহীদ বর্ধনা সৃতি আবাসিক হোমে পাঠানো হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রচারিত খবরে অর্পিতাকে ইসকন ভক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে যে তিনি বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে পালিয়েছেন। তবে জয়দেব চন্দ্র রায় ও অনুরাধা রানী স্পষ্টভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, তারা সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং ইসকন ভক্ত নন। তাদের এলাকায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির পরিবেশ বিরাজমান এবং কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। তারা ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যা প্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় শারদীয় দুর্গাপুজা মণ্ডপ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনোরঞ্জন বনিকও ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রচারকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছেন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সি জানিয়েছেন, প্রিয়ন্তী রায় প্রমি চোখের চিকিৎসার জন্য ভিসা ছাড়া ভারতে গিয়ে আটক হয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রচারিত খবর মিথ্যা বলে নিশ্চিত হয়েছে।