জুমার রাত, ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টুকু জুমার পরিধি। শুধু জুমার নামাজ আদায়ই নয়, জুমার রাত ও দিন জুড়ে রয়েছে অনেক ইবাদতের সুযোগ।
- *জুমার রাতের ইবাদত:**
- **অধিক ইবাদত:** জুমার রাতে অধিক ইবাদত করা উচিত। আল্লাহ তাআলা বান্দার ইবাদতের জন্য জুমার দিনকে বেছে নিয়েছেন।
- **মাগরিব ও এশায় বিশেষ সুরা তিলাওয়াত:** জুমার রাতে মাগরিবের নামাজে সূরা কাফিরুন ও ইখলাস এবং এশার নামাজে সূরা জুমা ও মুনাফিকুন তিলাওয়াত করার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
- **সূরা দুখান তিলাওয়াত:** জুমার রাতে সূরা দুখান তিলাওয়াত করলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
- **দরুদ পাঠ:** জুমার রাতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রতি অধিক দরুদ পাঠ করা উচিত।
- **দোয়া ও মোনাজাত:** জুমার রাতে বেশি বেশি দোয়া, ইস্তিগফার ও কল্যাণ প্রার্থনা করা উচিত।
- *জুমার দিনের ইবাদত:**
- **ফজরের নামাজে বিশেষ সুরা তিলাওয়াত:** জুমার দিন ফজরের নামাজের প্রথম রাকাতে সূরা সিজদা ও দ্বিতীয় রাকাতে সূরা দাহর তিলাওয়াত করা।
- **সূরা কাহফ তিলাওয়াত:** জুমার দিন সূরা কাহফ তিলাওয়াত করলে দুই জুমার মধ্যবর্তী সময় বিশেষ আলো দ্বারা আলোকিত হয়।
- **কেয়ামতের ভয়াবহতা স্মরণ:** জুমার দিন কেয়ামত সংঘটিত হবে বলে হাদিসে বর্ণিত আছে।
- **দান-সদকা:** জুমার দিন দান-সদকা করা অন্যান্য দিনের চেয়ে অধিক ফজিলতপূর্ণ।
- **পিতা-মাতার কবর জিয়ারত:** পিতা-মাতা মারা গিয়ে থাকলে জুমার দিন তাদের কবর জিয়ারত করা উচিত।
- **আসর থেকে মাগরিবের দোয়া:** জুমার দিন আসর থেকে সূর্যাস্তের মধ্যে আল্লাহ তাআলা দোয়া কবুল করেন।
- *জুমার রাতের গুরুত্ব:**
জুমার রাত হলো আল্লাহর সঙ্গে নিকটতর হওয়ার একটি সুযোগ। এ রাতে ইবাদত ও দোয়া করলে আল্লাহ তাআলার বিশেষ রহমত প্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। এছাড়াও, জুমার দিন সফল করার জন্য জুমার রাতে ভালো প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত।