২০১৬ সালে মাওলানা সাদ কান্ধলভির একটি ফতোয়াকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতে বিভাজন দেখা দেয়। তিনি বলেছিলেন, ইসলামী শিক্ষার বিনিময়ে অর্থ নেওয়া জায়েজ নয়। কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জুবায়েরের নেতৃত্বে তাবলিগেরই কিছু আলেম এই মতের বিরোধিতা করেন। এখানেই 'সাদপন্থি' ও 'জুবায়েরপন্থি' ধারার সৃষ্টি হয়। এই বিভাজন ২০১৭ সালের নভেম্বরে কাকরাইল মসজিদে দু'দল কর্মীর হাতাহাতির মধ্য দিয়ে প্রকাশ্যে আসে। পরবর্তীতে দু'পক্ষ পরস্পরকে 'নিষিদ্ধ' করার ঘোষণাও দেয় এবং বিশ্ব ইজতেমা আলাদা আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে 'সাদপন্থি' ও 'জুবায়েরপন্থি'দের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়। এই দ্বন্দ্ব কেবল ইজতেমা ময়দান দখলের সংঘাত নয় বরং মত চাপিয়ে দেওয়া ও আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতির প্রতিফলন। 'জুবায়েরপন্থি'দের পরিচয় নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে, তাদেরকে শুধু মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী হিসেবেই না দেখে 'শুরায়ে নিজাম' নামে একটি বৃহত্তর সংগঠনের অংশ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। এই দ্বন্দ্বের সমাধানের জন্য সাদপন্থি ও জুবায়েরপন্থি উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতার প্রয়োজন।
জুবায়েরপন্থি
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ২০১৬ সালে মাওলানা সাদ কান্ধলভির ফতোয়া তাবলিগ জামাতে বিভাজনের সূত্রপাত ঘটায়।
- কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জুবায়েরের নেতৃত্বে এই বিরোধের শুরু।
- ২০১৭ সালে কাকরাইল মসজিদে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি।
- বিশ্ব ইজতেমা দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে।
- ২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর টঙ্গীতে সংঘর্ষে চারজন নিহত।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।