জাবেদ হোসেন মনোয়ার

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:৫০ এএম

জাবেদ হোসেন মনোয়ার: লক্ষ্মীপুরের আইনজীবী ও ছাত্রলীগ নেতা

লক্ষ্মীপুরের আইনজীবী জাবেদ হোসেন মনোয়ার সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে তিনি পরিচিত। ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ঘটে যাওয়া সাদ আল আফনানসহ ৪ শিক্ষার্থীর হত্যার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ও আদালতের রায়:

২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর রামগঞ্জ থানার একটি সালিশে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। রোববার তাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারক তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জাবেদ হোসেন মনোয়ারের শ্বশুরবাড়ি রামগঞ্জে।

পেশা ও পরিবার:

জাবেদ হোসেন মনোয়ার লক্ষ্মীপুর আদালতের একজন আইনজীবী এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার ইব্রাহিম খলিলের ছেলে।

ঘটনার স্থান:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানা এবং সদর মডেল থানা এই ঘটনার সাথে জড়িত। ৪ আগস্টের ছাত্র-জনতা আন্দোলন মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় সংঘটিত হয়েছিল, যেখানে ৪ শিক্ষার্থী নিহত হয়।

জড়িত ব্যক্তিবর্গ:

এই মামলার সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাদ আল আফনান (নিহত শিক্ষার্থী), সাব্বির হোসেন (নিহত শিক্ষার্থী), ওসমান গণি (নিহত শিক্ষার্থী), কাউছার হোসেন (নিহত শিক্ষার্থী), নাছিমা আক্তার (সাদ আল আফনানের মা), আমির হোসেন (সাব্বির হোসেনের বাবা), অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান (বিচারক), রামগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার, এবং সদর মডেল থানার ওসি আবদুল মোন্নাফ। এছাড়াও, ৪ আগস্টের ঘটনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিল।

অন্যান্য তথ্য:

৪ শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনা ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় এ পর্যন্ত ৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু (সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি) এই মামলার প্রধান আসামি। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদেরকে পরবর্তীতে আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • লক্ষ্মীপুরের আইনজীবী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাবেদ হোসেন মনোয়ার গ্রেফতার
  • ৪ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থীদের হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ
  • রামগঞ্জ থানায় গ্রেফতার, পরে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর
  • জামিন আবেদন নামঞ্জুর, জেলা কারাগারে প্রেরণ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।