জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল: সুশাসন ও দুর্নীতি দমনের এক যাত্রা
বাংলাদেশের সুশাসন ও দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে ২০১২ সালে ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়’ অনুযায়ী জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়। এই কৌশল রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি বিরোধী সংস্কৃতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাথমিকভাবে ১০ টি রাষ্ট্রীয় ও ৬ টি অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এই কৌশলের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্বাহী বিভাগ ও জনপ্রশাসনের আওতায় থাকা মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের জন্য শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ‘সমন্বিত এপিএ’ (Annual Performance Agreement) কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। এতে শুদ্ধাচার, নাগরিক চার্টার, অভিযোগ প্রতিকার, তথ্য অধিকার এবং উদ্ভাবন – এই ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ কর্মপরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত।
এই কর্মপরিকল্পনাগুলোর সহজ ও সময়োপযোগী বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য ‘সুশাসন কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা সিস্টেম’ (Good Governance Activity Management System) তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন অর্থবছরের শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি প্রতিবেদন, প্রশিক্ষণ কর্মসূচী এবং অনলাইন সিস্টেমের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শুধুমাত্র একটি কাগজপত্র নয় বরং সুশাসন ও দুর্নীতি দমনে একটি জাতীয় পর্যায়ের সচেষ্টা। এই কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুন্দর ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনের পথ সুগম হচ্ছে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের তথ্য এবং কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য সরকারী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে উপলব্ধ।