জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:৪৮ এএম
নামান্তরে:
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ঢাকা বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম দগ্ধ রোগী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই ইনস্টিটিউটটিতে বার্ন ইউনিট, প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট এবং একাডেমিক উইংসহ তিনটি ব্লক রয়েছে।

ইতিহাস:

১৯৮৬ সালে, দেশের প্রথম প্লাস্টিক সার্জন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬-শয্যার একটি বার্ন ইউনিট চালু হয়। পরবর্তীতে, অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেনের প্রচেষ্টায় ২০০৩ সালে ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ইউনিট হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চত্বরে একটি স্বতন্ত্র ভবনে কার্যক্রম শুরু করে। ২০১০ সালের ৩রা জুন নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর এবং নির্বাচনী সংহিংসতা ও বিভিন্ন কলকারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ফলে বার্ন ইউনিটের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। ২০১৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের শয্যা সংখ্যা ৩০০ এ উন্নীতকরণ এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে একনেকের সভায় ৫০০ শয্যার এই ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ঢাকার চাঁনখারপুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০১৮ সালের ২৪শে অক্টোবর উদ্বোধন করেন। ৪ঠা জুলাই ২০১৯ থেকে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা শুরু হয়। ২০২৪ সালের ৩রা নভেম্বর ইনস্টিটিউটটির নাম পরিবর্তন করা হয়।

সুযোগ-সুবিধা:

এই ইনস্টিটিউটে ৫০০ শয্যা, ২২ শয্যার আইসিইউ, ২২ শয্যার এইচডিইউ, ১২টি অপারেশন থিয়েটার এবং একটি অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড রয়েছে। দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি জন্মগত ঠোঁটকাটা, তালুকাটাসহ বিভিন্ন রোগীদের প্লাস্টিক ও রিকন্সট্রাক্টিভ সার্জারির ব্যবস্থা আছে। রোগীদের দ্রুত আনা-নেওয়ার জন্য ছাদে হেলিপ্যাড এবং ১৮০টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। ১.৭৬ একর জমির উপর নির্মিত ১২ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালনা করেছে এবং নির্মাণ খরচ হয়েছে ৯১২ কোটি টাকা। প্রকল্প পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম, যিনি পরে প্রথম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কী তথ্য তালিকা:

  • ১৯৮৬ সালে ৬-শয্যার বার্ন ইউনিট চালু।
  • ২০০৩ সালে ৫০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ইউনিট।
  • ২০১৩ সালে ৩০০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ।
  • ২০১৫ সালে ৫০০ শয্যার ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন।
  • ২০১৬ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২০১৮ সালে উদ্বোধন।
  • ২০১৯ সাল থেকে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা।
  • ৫০০ শয্যা, ২২ আইসিইউ, ২২ এইচডিইউ, ১২ অপারেশন থিয়েটার।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম দগ্ধ রোগী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান
  • ৫০০ শয্যা, আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন
  • ১৯৮৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছোট বার্ন ইউনিট থেকে যাত্রা
  • ২০১৮ সালে উদ্বোধন
  • চাঁনখারপুল, ঢাকায় অবস্থিত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধ শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট দগ্ধদের চিকিৎসা দিয়েছে।

31/12/2024

দগ্ধ ব্যক্তিরা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিতে যান।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট দগ্ধদের চিকিৎসা প্রদান করেছে।