জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ: বাংলাদেশের আবাসন ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
বাংলাদেশে আবাসন সমস্যা একটি বহুল প্রচলিত সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, আর সেই উদ্যোগের অন্যতম হলো জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এটি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সংস্থা, যা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উৎস: ১৯৭১ সালের পর স্বাধীন বাংলাদেশে শরণার্থীদের আবাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা থেকে এই কর্তৃপক্ষের উৎপত্তি। প্রথমে এটি ‘আবাসন ও বন্দোবস্ত অধিদপ্তর’ এবং ‘জেলা প্রশাসক বন্দোবস্ত’ এর সমন্বয়ে ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই আইন অনুযায়ী স্থাপিত হয়। এর আগে কাজ কার্যক্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন উইং মাধ্যমে পরিচালিত হতো।
কার্যক্রম:
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কাজ হলো সরকারি নীতি অনুযায়ী স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা। এছাড়াও, তারা রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের নিবন্ধন, আবাসিক প্রকল্প অনুমোদন ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন আবাসন প্রকল্পের বাস্তবায়নের দায়িত্বে তারা নিয়োজিত থাকে, তবে রায়জুক, সিডিএ, কেডিএ এর মতো শহর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীন এলাকা বাদে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি:
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, আদিলুর রহমান খান (গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা), মোঃ হামিদুর রহমান খান (গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব) এবং সৈয়দ মোঃ নুরুল বাসির (জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান) জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তবে এই তথ্য সীমিত; আরও বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন।
সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ:
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমে বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন জমি অধিগ্রহণ, অর্থায়ন সংক্রান্ত সমস্যা ও দুর্নীতির অভিযোগ। ২০১৯ সালে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একজন যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে সরকারি জমি চুরির অভিযোগ উঠেছিল।
আগামী দিনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ হলে, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। তবে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা আপনাদের নিকট জানাবো।