চোরাচালান সিন্ডিকেট

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:২০ এএম

সম্প্রতি সিলেটের সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের একটি বিশাল সিন্ডিকেটের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটটি একক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয় বরং বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর প্রথমে চোরাচালান অনেকটা বন্ধ ছিল, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বদলে এখন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করছে। চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদলের এক নেতার ভাইকেও চোরাচালানের পণ্যসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য প্রবেশ করছে। জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্তেও চোরাকারবারিরা সক্রিয়। তারা ভারতের কিছু ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ করে চোরাই পথে পণ্য আনে। এসব পণ্যকে স্থানীয়ভাবে ‘বুঙ্গার মাল’ বলা হয়। চিনির পাশাপাশি প্রসাধনসামগ্রী, কাপড়, মাদক, আপেল, কম্বল, গরু ইত্যাদি পণ্য চোরাচালান হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। সিলেট মহানগর পুলিশ ২৯টি এবং জেলা পুলিশ ৩৭টি চোরাচালানের মামলা করেছে। বিজিবিও এই বিষয়ে কাজ করছে। তবে কিছু চক্র এখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছে।

অনেক চোরাচালানের মামলা হলেও, সিন্ডিকেটের মূল হোতাধারীদের ধরা পড়ার ঘটনা কম। এদের মধ্যে অনেক রাজনীতিকদের সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে চোরাচালান বন্ধের জন্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তবে চোরাচালান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি। অনেকে মনে করেন, দুর্নীতির জন্য এই চোরাচালান বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

মূল তথ্যাবলী:

  • সিলেটে চোরাচালানের বিশাল সিন্ডিকেট সক্রিয়
  • রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সিন্ডিকেটে নেতৃত্ব পরিবর্তন
  • বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ
  • চিনি, মাদক, প্রসাধনসামগ্রীসহ নানা পণ্যের চোরাচালান
  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - চোরাচালান সিন্ডিকেট