"চোখ উপড়ে ফেলা" : একাধিক প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা
"চোখ উপড়ে ফেলা" একটি বাংলা ভাষার রূঢ় প্রকাশ যার বহুবিধ অর্থ থাকতে পারে। এই প্রকাশটি সাধারণত কোনো তীব্র প্রতিক্রিয়া , ভয়ানক পরিণতি বা কঠোর প্রতিশোধের সঙ্কেত বহন করে। এই নিবন্ধে আমরা দুটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার প্রেক্ষিতে এই প্রকাশের ব্যবহার বিশ্লেষণ করব।
ঘটনা ১: জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিক্রিয়া
২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের (জাসদ) সভাপতি এস এম জিলানী ভারতের উদ্দেশ্যে "চোখ উপড়ে ফেলা" প্রকাশ ব্যবহার করেন। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিনটি অঙ্গ সংগঠন ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ করছিল। এই লংমার্চের একটি পথসভায় জিলানী এই মন্তব্য করেন। তিনি মনে করেন ভারত বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে না এবং শেখ হাসিনার সরকারকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জিলানীর মতে, ভারত যদি বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে ও তাকায়, তবে তার পরিণতি তীব্র হবে।
ঘটনা ২: জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিক্রিয়া
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ১৯৭১ সালের বিজয় দিবস বিষয়ক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম "চোখ উপড়ে ফেলা" প্রকাশ ব্যবহার করেন। মোদি বাংলাদেশের বিজয়কে ভারতের বিজয় বলে উল্লেখ করার কারণে দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। সারজিস আলম এই মন্তব্য করে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিবাদ জানান। তার মতে, যদি কেউ বাংলাদেশের সাথে শোষণমূলক মনোভাব রাখে, তাহলে তার পরিণতি তীব্র হবে।
উপসংহার
"চোখ উপড়ে ফেলা" প্রকাশটি একটি রূঢ় প্রকাশ যা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বোঝায়। এই প্রকাশ ব্যবহার কারীরা তাদের তীব্র অসন্তোষ এবং ভবিষ্যৎ পরিণতির সঙ্কেত দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এই প্রকাশের ব্যবহার সবসময় সুন্দর নাও হতে পারে।