চুলের যত্ন নেওয়া সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর চুল শুধুমাত্র সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে না, শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথেও জড়িত। বিভিন্ন ধরণের চুল (কোঁকড়ানো, পাতলা, তৈলাক্ত, শুষ্ক ইত্যাদি) থাকলেও, চুলের যত্নের কিছু মৌলিক নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য।
চুল ধোয়া: হালকা গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। খুব গরম পানি চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে, ফলে চুল শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কন্ডিশনার ব্যবহার: কন্ডিশনার চুলের শেষাংশে লাগানো উচিত, গোড়ায় নয়। প্রশস্ত-দাঁত চিরুনি ব্যবহার করে কন্ডিশনার সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। ময়শ্চারাইজিং শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
শ্যাম্পু ব্যবহার: শ্যাম্পু মাথার ত্বকে মনোনিবেশ করে লাগানো উচিত। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
তোয়ালে ব্যবহার: তোয়ালে ব্যবহারের পরিবর্তে, পুরোনো সুতির টি-শার্ট ব্যবহার করে চুল শুকানো ভালো।
তাপ সুরক্ষা: উত্তাপের মাধ্যমে চুল স্টাইলিং করার আগে তাপ সুরক্ষাকারী পণ্য ব্যবহার করুন।
চুল শুকানো: যতটা সম্ভব বাতাসে চুল শুকানোর চেষ্টা করুন। ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করলে গোল ব্রাশ ব্যবহার করে শুকান। ভেজা চুল কখনোই কার্লিং লোহা বা স্ট্রেইটনার ব্যবহার করবেন না।
অংশ পরিবর্তন: চুলের অংশ পরিবর্তন করে চুলকে পুরো দেখানোর চেষ্টা করুন।
পনিটেল: প্রতিদিন চুল পনিটেল করলে চুলের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হেয়ারস্প্রে: চুলের স্টাইল ধরে রাখতে হেয়ারস্প্রে ব্যবহার করুন।
স্ক্যাল্প যত্ন: নিয়মিত স্ক্যাল্প এক্সফোলিয়েট করুন।
বালিশ: সিল্ক বা সাটিন বালিশে ঘুমানো চুলের জন্য উপকারী।
ড্রাই শ্যাম্পু: চুল তেলতেলে লাগলে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
গভীর কন্ডিশনিং: নিয়মিত গভীর কন্ডিশনিং চিকিত্সা করুন।
ইউভি রে সুরক্ষা: সূর্য থেকে চুল রক্ষা করুন।
বিভক্ত চুল: বিভক্ত চুল কেটে ফেলুন।
চুল হাইড্রেটেড রাখা: চুল হাইড্রেটেড রাখার জন্য লে-ইন চুলের ক্রিম ব্যবহার করুন।
ভেজা চুল আঁচড়ানো: ভেজা চুল আঁচড়ানোর সময় প্রশস্ত দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন।
গরম সরঞ্জাম: গরম স্টাইলিং সরঞ্জাম কম বা মাঝারি তাপমাত্রায় ব্যবহার করুন।