চান্দুরা

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২:২৪ এএম

চান্দুরা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ইউনিয়ন

চান্দুরা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। এটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষিতে। ৪৬৪৪ একর (১৮.৭৯ বর্গ কিলোমিটার) আয়তনের এই ইউনিয়নের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ছিল ২১,১৮১ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং মহিলা ৪৯%। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০,৭৭২ জনে। সাক্ষরতার হার, তথ্য অনুসারে, ২০১১ সালে ছিল ৩৭.৪%।

চান্দুরা ইউনিয়নের ভৌগোলিক অবস্থান বিজয়নগর উপজেলার উত্তরাংশে। এর উত্তরে বুধন্তি ইউনিয়ন, পূর্বে হরষপুর ইউনিয়ন, দক্ষিণে ইছাপুরা ইউনিয়ন, পশ্চিমে চর ইসলামপুর ইউনিয়ন এবং উত্তর-পশ্চিমে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন অবস্থিত। চান্দুরা ইউনিয়ন বিজয়নগর উপজেলার ২নং ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এবং বিজয়নগর থানার প্রশাসনিক কার্যক্রমের আওতাভুক্ত। এটি জাতীয় সংসদের ২৪৫নং নির্বাচনী এলাকা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩) এর অংশ।

চান্দুরা বাজার, রামপুরবাজার এবং আমতলী বাজার ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক কেন্দ্র।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

মুক্তিযুদ্ধে চান্দুরার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর চান্দুরা মুক্তিযুদ্ধে মুক্ত হয়। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল চান্দুরায়, যা মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা ধ্বংস করা হয়। এই ঘটনার স্মৃতি রক্ষার্থে ৬ ডিসেম্বর 'চান্দুরা মুক্ত দিবস' হিসেবে পালিত হয়। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর দুই সদস্য, হাবিলদার রাকিব উদ্দিন ও মুজিবুর রহমান শহীদ হন, এবং সাতজন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়।

উল্লেখযোগ্য তথ্য:

  • চান্দুরার আয়তন: ৪৬৪৪ একর (১৮.৭৯ বর্গ কিলোমিটার)
  • ২০১১ সালের জনসংখ্যা: ৩০,৭৭২
  • ২০১১ সালের সাক্ষরতার হার: ৩৭.৪%
  • প্রধান বাজার: চান্দুরা বাজার, রামপুরবাজার, আমতলী বাজার
  • মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস: ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি

আমরা চেষ্টা করেছি চান্দুরা সম্পর্কে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে তা তুলে ধরতে। ভবিষ্যতে আরও তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা এ নিবন্ধটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • চান্দুরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার একটি ইউনিয়ন
  • ৪৬৪৪ একর আয়তন
  • ২০১১ সালে জনসংখ্যা: ৩০,৭৭২
  • ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে মুক্ত
  • ৩৭.৪% সাক্ষরতার হার (২০১১)

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।