গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং: বাংলাদেশের বিমানবন্দরের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক
বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেবা। এটি বিমানের আগমন ও প্রস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত সকল স্থল-ভিত্তিক কার্যক্রমকে বোঝায়। এই সেবাটি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির দ্বারা প্রদান করা হয়, যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভূমিকা: স্বাধীনতার পর থেকেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের সকল বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদান করে আসছে। তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এই সেবা প্রদান করে যাচ্ছে এবং আইএসএজিও (আইএটিএ সেফটি অডিট ফর গ্রাউন্ড অপারেশন) সার্টিফিকেশনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সনদ অর্জন করেছে। তাদের কাছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও দক্ষ জনবল রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদানের দায়িত্বও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে। এই কাজের জন্য তারা আরও প্রায় দেড় হাজার কর্মী নিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে।
বিদেশি এয়ারলাইন্সের অভিযোগ: অন্যদিকে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা নিয়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সের অভিযোগ রয়েছে। তাদের দাবি, বিমানের সেবা যথেষ্ট নয় এবং দাম অনেক বেশি। এর ফলে বিদেশি এয়ারলাইনগুলোকে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে টিকেটের দামে।
সমস্যা ও সমাধান: গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে যাত্রীদের ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং, কার্গো ব্যবস্থাপনা, ও উড়োজাহাজ সচল রাখার সহায়ক কার্যক্রম শামিল। বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য এয়ারলাইনস অপারেটর কমিটি (এওসি) একাধিক গ্রাউন্ড হ্যান্ডলার নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করে, এবং মান নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
উন্নয়নের লক্ষ্য: তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে বিমানবন্দরের যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য উন্নতমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, এই সেবার মান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে তাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।