গ্যাস লিকেজ: সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আজতক বাংলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ও গ্যাস লিকেজের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসাবধানতা ও গ্যাস লিকেজ এর প্রধান কারণ। এলপিজি গ্যাসের দাহ্যতার কারণে ঘরে গ্যাস ব্যবহারের সময় অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।
গ্যাস লিকেজের কিছু প্রধান কারণ হলো:
- গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ
- গ্যাস সিলিন্ডার সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখা
- গ্যাস সিলিন্ডার এবং ওভেনের সংযোগকারী আলগা পাইপ
- পুরাতন গ্যাস পাইপ
এলপিজি গ্যাস ডেলিভারির সময় গ্রাহকদের জন্য প্রি-ডেলিভারি পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিলিন্ডার নেওয়ার আগে, গ্রাহকদের ডেলিভারি বয় দ্বারা সিল, ভালভ, ওজন ও লিকেজ পরীক্ষা করানো উচিত।
গ্যাস লিকেজ শনাক্ত করার লক্ষণ:
- পচা ডিম, পেঁয়াজ বা রসুনের মতো গন্ধ
- হিস-হিস শব্দ
গ্যাস লিকেজ হলে করণীয়:
1. শান্ত থাকুন এবং ঘরের জানালা-দরজা খুলুন।
2. গ্যাস রেগুলেটর বন্ধ করুন।
3. দাহ্য জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন।
4. লাইটার বা ম্যাচস্টিক জ্বালানো থেকে বিরত থাকুন।
5. গ্যাস লিকেজের গন্ধ কমার জন্য অপেক্ষা করুন।
6. আতঙ্কিত হলে হেল্পলাইন নম্বর ১৯০৬ ডায়াল করুন।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের সময় সাবধানতা ও লিকেজ শনাক্ত করার উপায় বর্ণনা করা হয়েছে। লিকেজের লক্ষণ হলো অস্বাভাবিক গন্ধ, তীক্ষ্ণ শব্দ, এবং শারীরিক উপসর্গ যেমন মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ও মাথাব্যথা। গ্যাস লিকেজ শনাক্ত হলে ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়া, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করা, জানালা-দরজা খুলে দেওয়া, গ্যাসের প্রধান সরবরাহ বন্ধ করা এবং ফায়ার সার্ভিসকে যোগাযোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়িতে কার্বন মনোক্সাইড শনাক্তকারী যন্ত্র এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।