জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীন গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি ব্যবস্থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তাকে ক্ষুণ্ণ করার একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি মনে করেন, কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি গুচ্ছের আড়ালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসের চেষ্টা করছে। তিনি উল্লেখ করেন যে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আসছে, কিন্তু গুচ্ছভিত্তিক ব্যবস্থার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো লাভবান হচ্ছে। গুচ্ছ ব্যবস্থার ফলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা থাকার প্রবণতাও বেড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ২০১৮-১৯ সেশন থেকে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তাদের অভিযোগ, কিছু স্বার্থান্বেষী চক্রের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে। শিক্ষক সমিতি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, ২০১৮-১৯ সালের তুলনায় ২০২০-২১ সালে শিক্ষকদের পারিশ্রমিক গড়ে ৭৫% এবং ২০২২-২৩ সালে প্রায় ২৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা দাবি করেন, গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষা ব্যবস্থার ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৪টি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৩৬০ টি আসন ফাঁকা রয়েছে। শিক্ষক সমিতির দাবি, ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটির মাধ্যমে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হলে তারা সম্মতি দেবে, অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ও একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি ব্যবস্থা
মূল তথ্যাবলী:
- গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি ব্যবস্থা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনকে ক্ষুণ্ন করেছে।
- গুচ্ছের ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে।
- গুচ্ছ ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন ফাঁকা থাকার সংখ্যা বেড়েছে।
- ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটির মাধ্যমে একীভূত পরীক্ষা ব্যবস্থা হলে শিক্ষকরা সম্মতি দেবে।
গণমাধ্যমে - গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি ব্যবস্থা
২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম
গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আন্দোলন করেছে।
22/12/2024
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছে।