গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১:০৯ এএম

গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী: একজন আলোচিত ইসলামি বক্তা

গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী (জন্ম: ১ মার্চ ১৯৮৫) একজন বাংলাদেশি আলোচিত ও সমালোচিত ইসলামি বক্তা। তিনি ধর্মীয় মাহফিলে তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং বক্তব্যের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ‘দাওয়াতে ঈমানী বাংলাদেশ’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তার ‘চা খাবেন’, ‘ঢেলে দেই?’, ‘বসেন বসেন, বইসা যান’ প্রভৃতি সংলাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।

তাহেরী ১৯৮৫ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নজিব উদ্দিন এবং মাতার নাম মোহছেনা বেগম। তার পিতা ছিলেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক এবং মাতা গৃহিণী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম এবং ঢাকার কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল ও কামিল পাশ করেন। তিনি প্রধানত ধর্মীয় মাহফিলে বক্তব্য দেন এবং দাওয়াতে ঈমানী বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।

২০১৮ সালে তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরাজিত হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।

তাহেরী বিভিন্ন ধর্মীয় মাহফিলে তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। তার বক্তব্যের কিছু অংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও মাহফিলে গান গাওয়া, নাচানাচি করে জিকির করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের দিকে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের উপর আঘাত সৃষ্টির অভিযোগে মামলা করা হয় যদিও পরে তা খারিজ করা হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, তিনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁর বক্তৃতা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক ও সমালোচনা চলেছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে তাঁর সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে পারব এবং এই নিবন্ধটি আরও বিস্তারিত করতে পারব।

মূল তথ্যাবলী:

  • গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী একজন বাংলাদেশি ইসলামি বক্তা
  • তিনি ধর্মীয় মাহফিলের বিতর্কিত বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত
  • তিনি দাওয়াতে ঈমানী বাংলাদেশ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা
  • তিনি ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন
  • তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাতের অভিযোগে মামলা হয়েছিল

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।