গিয়াস উদ্দিন

বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন: স্বাধীনতা যুদ্ধের এক অম্লান কীর্তি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে গিয়াস উদ্দিনের নাম সোনালী অক্ষরে লেখা রয়েছে। জন্ম অজানা, মৃত্যু ২০০৪ সালে। কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার চান্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার পিতার নাম বাদশা মিয়া এবং মাতার নাম চান্দ বানু। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১৯ সিগন্যাল কোরে কর্মরত ছিলেন এবং ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন ১৯৭১ সালে। একজন কমান্ডো বাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ঢাকা সেনানিবাস থেকে কৌশলে পালিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

গিয়াস উদ্দিন মূলত ২ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন হোমনা, দাউদকান্দি ও গজারিয়া থানায় যুদ্ধ করেছেন। ৯ নভেম্বর দাউদকান্দির পঞ্চবটীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিনি আহত হন, তার বাঁ পায়ে গুলি লাগে। তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা হোমনা থানায় আক্রমণ চালিয়ে সকল পাকিস্তানি সেনা ও পুলিশকে নিহত করে। এছাড়াও, ৬ জুলাই তিনি জয়পুর গ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি দলের উপর আক্রমণ চালিয়ে তাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেন। গোমতী নদীর পাড়ে ফাঁদ পেতে তারা ২০-২২ জন পাকিস্তানি সেনাকে হতাহত করেন বলে ধারণা করা হয়। তার অসাধারণ সাহসিকতা ও যুদ্ধকৌশলের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেছে। তার স্ত্রীর নাম ছিল সাবিহা বেগম এবং তাদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে ছিল।

মূল তথ্যাবলী:

  • গিয়াস উদ্দিন ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন
  • তিনি হোমনা, দাউদকান্দি ও গজারিয়ায় যুদ্ধ করেছেন
  • তিনি বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেছেন
  • তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিল

গণমাধ্যমে - গিয়াস উদ্দিন

গিয়াস উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার ফলে কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে।