ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ঘিরে বর্তমানে উঠে এসেছে বেশ কিছু জটিলতা। বাংলাদেশের জন্য নির্মিত এই ১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রটি (২০২৩ সালের জুনে চালু) ভারতের আদানি গ্রুপ পরিচালিত। তবে বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান উত্তেজনা এবং অসম চুক্তি, এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের বকেয়া (৮০ কোটি ডলারের বেশি) নিয়ে বিরোধের জেরে আদানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৪০% কমিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আদানি গ্রুপ গোড্ডা কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শ্রীলঙ্কার কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে। তবে এই সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ রপ্তানিতে ভারতীয় নিয়মের কোনো বাধা নেই। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রভাব এবং কয়লা সংকটের কারণে গোড্ডা প্রকল্পটি বর্তমানে চাপের সম্মুখীন। আদানির বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে পিডিবি-এর সাথে সমঝোতা হলেও, বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ঘটনা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ আদানির জন্য ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র খুলেছে। এছাড়াও, গোড্ডা কেন্দ্রের বিদ্যুৎ দেশীয় বাজারে বিক্রির জন্য আদানিকে নতুন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে। বর্তমান নেটওয়ার্ক কেবলমাত্র বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য। হাইকোর্ট আদানিসহ ১১টি প্রকল্পের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা নিয়োগের জন্য বলেছে।
গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র
মূল তথ্যাবলী:
- গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য নির্মিত হলেও, বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় বিক্রির পরিকল্পনা চলছে।
- আদানি গ্রুপের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের বকেয়া রয়েছে।
- রাজনৈতিক পরিবর্তন ও কয়লা সংকটের কারণে গোড্ডা প্রকল্প চাপের মধ্যে রয়েছে।
- বাংলাদেশের অনুমোদন ছাড়া শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিক্রি করা সম্ভব নয়।
- গোড্ডা কেন্দ্রের বিদ্যুৎ দেশীয় বাজারে বিক্রির জন্য আদানিকে নতুন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে।
গণমাধ্যমে - গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র
এই বছরে গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি হয়।
গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ কমিয়ে শ্রীলঙ্কায় বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে।