খতিয়ান

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:৪৫ এএম
নামান্তরে:
হিসাবরক্ষণ
খতিয়ান

খতিয়ান হলো বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল যা জমির মালিকানা ও ভোগদখল সংক্রান্ত তথ্য ধারণ করে। ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে জমির সুনির্দিষ্ট রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা করা হয় এবং খতিয়ান তৈরির কাজ শুরু হয়। এই আইনের পূর্বে জমি সংক্রান্ত নথিপত্রের অভাব ছিল, যার ফলে জমির মালিকানা নিয়ে অনেক বিরোধ দেখা দিত। খতিয়ান তৈরির জন্য দেশব্যাপী জমি জরিপের কাজ করা হয়, এবং প্রতিটি জমি-খন্ডের (চক) ভোগদখলকারীর নাম, পিতার নাম, জমির পরিমাণ, স্বত্বের প্রকৃতি, খাজনার পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়। প্রত্যেক মৌজার জন্য একটি নকশা তৈরি করা হয়, এবং এ নকশায় সকল জমি-খন্ড সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। খতিয়ানের একটি সংখ্যা থাকে, এবং একটি মৌজার সকল খতিয়ান সংখ্যাক্রম অনুযায়ী একটি বালাম বইতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বালাম বইটি কালেক্টরেট, জজের মহাফেজখানা এবং তহসিল অফিসে সংরক্ষণ করা হয়। খতিয়ানের একটি সত্যায়িত কপি ভোগদখলকারীর পেতে পারেন। বর্তমানে, ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগের অংশ হিসেবে, অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান ও ডাউনলোড করার সুযোগ রয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের www.eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট এবং eKhatian অ্যাপের মাধ্যমে খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর অথবা মালিকের নাম দিয়ে ভূমি তথ্য অনুসন্ধান করা যায়। বিভিন্ন ধরণের খতিয়ান রয়েছে, যেমন: আর এস (Revisional Survey), সি এস (Cadastral Survey), বি এস (Bangladesh Survey), বি আর এস (BRS) ইত্যাদি। খতিয়ান জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মালিকানা যাচাইয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন খতিয়ান প্রণয়নের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করে।
  • খতিয়ান জমির মালিকানা ও ভোগদখল সংক্রান্ত তথ্য ধারণ করে।
  • প্রতিটি মৌজার জন্য একটি নকশা ও খতিয়ান সংখ্যা থাকে।
  • অনলাইনে খতিয়ান অনুসন্ধান ও ডাউনলোড করার সুযোগ রয়েছে।
  • বিভিন্ন ধরণের খতিয়ান রয়েছে, যেমন: আর এস, সি এস, বি এস, বি আর এস।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।