ক্যান্ডি: মিষ্টান্নের রাজকুমারী
ক্যান্ডি, শব্দটি শুনলেই মুখে জল আসে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের পরিচিত এই মিষ্টি আনন্দের অপরিসীম ভাণ্ডার। কিন্তু ক্যান্ডি কী? কীভাবে তৈরি হয়? এর ইতিহাস কেমন? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজে দেখা যাক।
ক্যান্ডি হল ঘনীভূত চিনিমিশ্রিত পানি, যাতে বিভিন্ন স্বাদ, সুগন্ধ এবং রঙ যোগ করা হয়। এর ইতিহাস বেশ প্রাচীন। ১৩শ শতকের প্রথম দিকে আরবি শব্দ ‘qandi’ এবং ফার্সি শব্দ ‘qand’ থেকে ‘ক্যান্ডি’ শব্দটির উৎপত্তি। উত্তর আমেরিকায় ক্যান্ডি বলতে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টান্ন বোঝায়, যেমন- ক্যান্ডি বার, চকলেট, টক ক্যান্ডি, লবণাক্ত ক্যান্ডি, শক্ত ক্যান্ডি, টফি ইত্যাদি। ঘনীভূত চিনিতে লাগানো ফল, সবজি বা বাদামকেও ক্যান্ডিড বলা হয়। উত্তর আমেরিকার বাইরে, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অন্যান্য কমনওয়েলথ দেশে ক্যান্ডিকে মিষ্টি বা কনফেকশনারি বলা হয়। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে একে চকলেট বা ললিপপও বলা হয়।
আজকের ক্যান্ডির বিশাল বাজারের পেছনে রয়েছে বহু শতাব্দীর ইতিহাস, অসংখ্য উদ্ভাবক এবং ব্যবসায়ীদের অবদান। বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন সংস্কৃতির প্রভাব ক্যান্ডির তৈরিতে স্পষ্ট। আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত রসায়নের সাহায্যে আজ বিভিন্ন রঙ, স্বাদ, আকার এবং গঠনের ক্যান্ডি তৈরি করা হয় যা আমাদের কাছে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
ক্যান্ডির জনপ্রিয়তা অনবদ্য। এটি শুধুমাত্র একটি মিষ্টান্ন নয়, বরং একটা আনন্দের উপাদান, উৎসবের অঙ্গ, স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশও।