কেশবপুর উপজেলা

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:১৬ পিএম
নামান্তরে:
কেশবপুর।
Keshabpur Upazila
কেশবপুর উপজেলা

কেশবপুর উপজেলা: যশোরের ঐতিহাসিক এক অংশ

বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের যশোর জেলায় অবস্থিত কেশবপুর উপজেলা, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ একটি প্রশাসনিক এলাকা। প্রায় ২৫৮.৫৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলা যশোর শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উত্তরে মণিরামপুর, দক্ষিণে খুলনার ডুমুরিয়া, পূর্বে অভয়নগর এবং পশ্চিমে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা অবস্থিত। কপোতাক্ষ, হরিহর ও বুড়িভদ্রা নদী এই উপজেলাকে সৌন্দর্য্য দান করেছে।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

কেশবপুরের নামকরণের সঠিক ইতিহাস অস্পষ্ট। তবে জনশ্রুতি অনুযায়ী কেশবচন্দ্র নামে এক জমিদারের নামানুসারে উপজেলার নামকরণ করা হয়। ১৮০২ সালে কেশবপুর বাজারের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি নদী (বর্তমানে খাল) উপর জিতরাম সাহা একটি সেতু নির্মাণ করেন, যা এই অঞ্চলের উন্নয়নের একটি মাইলফলক। এই উপজেলায় মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ী অবস্থিত, যা বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের আকর্ষণ করে। মীর্জানগর নবাব বাড়ি, পাঁজিয়ায় ধীরাজ ভট্টাচার্যের বাড়ি, গৌরীঘোনা ইউনিয়নের ভরতের দেউল (প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির) এবং বিদ্যানন্দকাটীর খাঁজালী দীঘি সহ অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান এই উপজেলার গৌরব বর্ধিত করে। ১৮৬৯ সালের ১৪ জুন এখানে থানা স্থাপিত হয় এবং ১৯৮২ সালের ১৫ ডিসেম্বর এটি উপজেলায় উন্নীত হয়। গাজী এরশাদ আলী এই উপজেলার প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন।

জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক তথ্য:

২০১১ সালের জনগণনার তথ্য অনুযায়ী, কেশবপুর উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৫৩,২৯১। এখানকার শিক্ষার হার জাতীয় গড়ের চেয়ে কিছুটা বেশি।

অর্থনীতি:

এই উপজেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। ধান, পাট, গম, আলু সহ বিভিন্ন ফসল এখানে চাষ করা হয়। মৎস্য চাষ, গবাদিপশু খামার, এবং কুটিরশিল্পও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।

পর্যটন:

মধুপল্লী, ভরতের দেউল ও অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলি এই উপজেলাকে পর্যটন স্থান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

আরও তথ্যের জন্য:

কেশবপুর উপজেলা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্ত হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • কেশবপুর উপজেলা যশোর জেলার একটি ঐতিহাসিক প্রশাসনিক এলাকা।
  • এটি প্রায় ২৫৮.৫৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের।
  • মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ী কেশবপুরে অবস্থিত।
  • এখানে ভরতের দেউল, খাঞ্জালী দীঘি প্রভৃতি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে।
  • কৃষি এই উপজেলার অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।