কিশোরগঞ্জ: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রকৃতির কোলে আবদ্ধ জেলা। নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই জেলাটি ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত। ১৮৪৫ সালের পর কিশোরগঞ্জের উত্থান ঘটে। বিখ্যাত ব্যবসায়ী কৃষ্ণাদাস বসাকের নামের সাথে জড়িত এই জেলার নামকরণের পেছনে দুটি জনপ্রিয় মতবাদ রয়েছে। কিশোরগঞ্জ শহরের জনসংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ, এবং জেলার মোট জনসংখ্যা ৩০ লক্ষের অধিক। জেলাটি কৃষিপ্রধান, ধান, গম, ভুট্টা, আলু, সরিষা প্রভৃতি ফসল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামারও জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শোলাকিয়া ঈদগাহ, মেঘনা নদীর তীরের বোটানিক্যাল গার্ডেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু, ভৈরব রেলসেতু- কিছু উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থান। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলায় ব্যাপক সংঘর্ষ ও গণহত্যা সংঘটিত হয়। নিকলি, অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, মিটামইন, ভৈরব, হোসেনপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার চিহ্ন এখনো বিদ্যমান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে কিশোরগঞ্জে বেশ কয়েকটি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রয়েছে। জেলার লোকসংস্কৃতি সমৃদ্ধ। ময়মনসিংহ গীতিকা, ভাটিয়ালি গান, লোক কিসসা, লোক কাহিনী, পালাগান, প্রবাদ-প্রবচন ইত্যাদি এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ।
কিশোরগঞ্জ
মূল তথ্যাবলী:
- কিশোরগঞ্জ ঢাকা বিভাগের একটি প্রকৃতিসমৃদ্ধ জেলা
- নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত
- কৃষি, মৎস্য ও গবাদিপশু খামার জেলার অর্থনীতির ভিত্তি
- শোলাকিয়া ঈদগাহ, মৈত্রী সেতু, ভৈরব রেল সেতু-উল্লেখযোগ্য স্থাপনা
- মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গণহত্যা
- সমৃদ্ধ লোকসংস্কৃতি ও ঐতিহ্য