বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে কমেডিয়ানদের অবদান অপরিসীম। ষাটের দশক থেকেই হাসির রসাত্মক অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন অনেক তারকা। এঁদের মধ্যে অন্যতম খান জয়নুল, যিনি ‘দর্পচূর্ণ’, ‘মধুমালা’র মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন। কেবল অভিনয়ই নয়, তিনি ছিলেন একজন কাহিনিকার ও সাংবাদিকও। আরেকজন জনপ্রিয় কমেডিয়ান আনিস, নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ‘জরিনা সুন্দরী’, ‘জংলি মেয়ে’ ছবির মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। টেলি সামাদ, ‘সোহাগ’, ‘নয়নমণি’র মতো ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও দর্শকদের মন জয় করেছেন। তিনি ‘মনাপাগলা’ ছবির প্রযোজক ও নায়ক ছিলেন। হাসমত ‘হাবা হাসমত’, ‘এতটুকু আশা’র মতো ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন। দিলদার কয়েক শ ছবিতে কমেডিয়ান হিসেবে অভিনয় করে রেকর্ড গড়েছেন। তিনি নারী কমেডিয়ান নাসরিনের সঙ্গে শতাধিক গানে পারফর্ম করেছেন। সুভাষ দত্ত ও আমজাদ হোসেন গুরুতর চরিত্রের পাশাপাশি হাসির অভিনয়ও করেছেন, এবং চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অবদান রেখেছেন। আশীষ কুমার লৌহর অভিনয়ের পাশাপাশি চিত্রনাট্য রচনায় ও সফলতা পেয়েছেন। এ টি এম শামসুজ্জামান কৌতুকাভিনেতা হিসেবে প্রশংসিত ‘সীমা’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন। উল্লেখ্য, এঁদের মধ্যে এ টি এম শামসুজ্জামান ছাড়া সবাই প্রয়াত।
স্ট্যান্ড-আপ কমেডি এক ধরণের প্রহসন যেখানে একজন কমেডিয়ান জনতার সামনে হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিমায় কোন বিষয় উপস্থাপন করেন। এটি উন্মুক্ত মঞ্চ, থিয়েটার, জনসমাগম এমনকি ভিডিও ব্লগের মাধ্যমেও প্রচারিত হয়। কমেডিয়ানের নিজস্ব বাচনভঙ্গী, অঙ্গভঙ্গী ও মুখাবয়ব দর্শকদের মনোরঞ্জনের অন্যতম উপাদান। অনেকে তাদের প্রদর্শনীতে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কমেডিয়ান হলেন জেরি সাইনফেল্ড, যার সম্পদের পরিমাণ ১.১ বিলিয়ন ডলার। তিনি ‘সাইনফেল্ড’ নামক টিভি শো-র মাধ্যমে খ্যাতি পান। এই শো শেষ হওয়ার ২৬ বছর পরও তিনি এই শো থেকে মিলিয়ন ডলার আয় করছেন। তিনি ১৫০টি বিলাসবহুল গাড়ির মালিক, যার মধ্যে ৪৩টি পোর্শে আছে। এলেন ডিজেনারেস ও বায়রন অ্যালেন সম্পদের দিক থেকে কাছাকাছি আছেন। অস্কার পুরষ্কার সঞ্চালনার দায়িত্ব একসময়ের জনপ্রিয় কমেডিয়ান কোনান ও’ব্রায়েন পেয়েছেন। তিনি পাঁচবার এমি পুরস্কার জিতেছেন।