কফি: একটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পানীয়
কফি (ইংরেজি: Coffee) বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়। কফি চেরি নামক ফলের বীজ থেকে কফি তৈরি হয়। প্রায় 70 টি দেশে এই ফলের গাছ জন্মে। সবুজ কফি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত কৃষিপণ্যের মধ্যে একটি। কফিতে ক্যাফেইন নামক উত্তেজক পদার্থ রয়েছে, যা মানুষের উপর উদ্দীপক প্রভাব ফেলে। 8 আউন্স কফিতে প্রায় 135 মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। বর্তমানে কফি বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত গরম পানীয়।
কফির ইতিহাস:
কফির উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। একটি জনপ্রিয় গল্পে 9 শতকে ইথিওপিয়ার এক ছাগলপালক কালদির নাম উল্লেখ আছে। তিনি প্রথম কফি গাছ দেখেছিলেন এবং তার ছাগলগুলোকে কফি বীজ খেতে দেখেছিলেন। ১৫ শতকের মাঝামাঝি ইয়েমেনের আহমেদ আল-গাফফারের বিবরণে কফি পানের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। ১৬ শতকে কফি মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। ২০ শতকে কফি একটি বৈশ্বিক পণ্যে পরিণত হয়। সুফি বাবা বুদান ইয়েমেন থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে প্রথম ভারতে কফির বীজ পাচার করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
কফির উৎপাদন এবং ব্যবহার:
কফিয়া গাছের ফল থেকে বীজ আলাদা করে সবুজ কফি বীজ তৈরি করা হয়। বীজগুলো ভাজা হয়, মিহি করে গুঁড়ো করা হয় এবং গরম পানিতে ফিল্টার করে কফি তৈরি করা হয়। কফি বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত এবং পরিবেশন করা যায় (যেমন এসপ্রেসো, ফ্রেঞ্চ প্রেস, ক্যাফে ল্যাটে)। কফির তিক্ত স্বাদ কমাতে চিনি, দুধ, ক্রিম ব্যবহার করা হয়। কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রিত পণ্য এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পানকৃত পানীয়গুলোর মধ্যে একটি।
কফির স্বাস্থ্যগত দিক:
কফি লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ক্যান্সার রোধে সাহায্য করতে পারে। ক্যাফেইন নিম্ন রক্তচাপের জন্য উপকারী। তবে অধিক পরিমাণে গ্রহণে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
কফির সাংস্কৃতিক গুরুত্ব:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় কফি দিবস পালন করা হয়। কফি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে জড়িত।