এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি): এশিয়ার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা
১৯৮৩ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর ভারতের নয়া দিল্লীতে প্রতিষ্ঠিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এশিয়ার ক্রিকেটের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য কাজ করে। এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর অধীনে কাজ করে এবং বর্তমানে এর ৪৩টি সহযোগী সদস্য রয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এসিসির সদর দপ্তর ছিল কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া। ১৯৮৩ সালে 'এশিয়ান ক্রিকেট কনফারেন্স' নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৯৫ সালে এর নাম পরিবর্তন করা হয় 'এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল'। ২০০৩ সাল পর্যন্ত এর সদর দপ্তর সভাপতি ও সেক্রেটারীর আবাসস্থলের দেশে পরিবর্তিত হতো। বর্তমানে এর সদর দপ্তর কলম্বো, শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত, যা ২০ আগস্ট ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এসিসির গঠনকারী সদস্য ছিল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা। এসিসির সদস্য দেশ দুই ভাগে বিভক্ত: আইসিসির পূর্ণ ও সহযোগী সদস্য এবং আইসিসির সদস্য নয় এমন দেশ। কিছু দেশ (যেমন ফিজি, জাপান, পাপুয়া নিউগিনি) ১৯৯৬ সালে আইসিসি পূর্ব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠিত হওয়ার পর এসিসি থেকে আলাদা হয়ে যায়।
এসিসি বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সহকারী কোচ, আম্পায়ার, খেলার সাথে জড়িত চিকিৎসা ও ঔষধ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ। এসিসির আর্থিক উৎস হল এশিয়া কাপ, এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ, এসিসি ট্রফি এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতার টেলিভিশন সম্প্রচারের স্বত্ত্ব বিক্রয়।
এসিসি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করে থাকে। উল্লেখযোগ্য হলো ২০২৪ এসিসি ইমার্জিং টিম এশিয়া কাপ, যা ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত হয়। এই টুর্নামেন্টে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ অংশ নেয়। এছাড়াও ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতে এবং ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশে এশিয়া কাপ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে এসিসির।
বর্তমানে এসিসির সভাপতি নামজুমল হাসান পাপন। তবে, লেখা অনুসারে, জয় শাহ এসিসির সভাপতি হিসাবেও উল্লেখ আছে, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। এই বিষয়ে আরো তথ্য প্রয়োজন। আমরা অতিরিক্ত তথ্য পাওয়ার পর আপনাদের সাথে তা শেয়ার করব।