এমএ মান্নান

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৩৮ এএম

এম.এ. মান্নান: একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ ও সাবেক সচিব

এম.এ. মান্নান নামটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ পরিচিত। তিনি একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সচিব ছিলেন। তার জন্ম ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের ডুংরিয়া গ্রামে। তিনি সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং ২০১৯-২০২৪ মেয়াদে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন।

শিক্ষা জীবন:

তার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রামের স্কুলে, ও-লেভেল সারগোদায় অবস্থিত পাকিস্তান এয়ারফোর্স স্কুল থেকে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

কর্মজীবন:

১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিএসসি) ক্যাডারে যোগদান করেন। বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং এনজিও ব্যুরোতে মহাপরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৩ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনেও তিনি ইকোনমিক মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবন:

২০০৫ সালে রাজনীতিতে যোগদান করেন। ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।

ব্যক্তিগত জীবন:

এম.এ. মান্নান বিবাহিত এবং তার এক পুত্র ও এক কন্যা আছে।

গ্রেফতার ও মামলা:

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ সুনামগঞ্জে ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

অন্যান্য তথ্য:

এম.এ. মান্নানের বিস্তারিত জীবনী সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে, আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৪৬ সালে জন্ম, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে
  • সাবেক সচিব ও রাজনীতিবিদ
  • ২০১৯-২০২৪ পরিকল্পনা মন্ত্রী
  • সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য
  • ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।