ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের এক নতুন অধ্যায়
২০১৩ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যা দেশের মাদরাসাগুলিকে অনুমোদন ও তত্ত্বাবধান করে। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান লক্ষ্য হলো মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করা, শিক্ষার মান উন্নত করা এবং মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ফাযিল (স্নাতক) এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) পর্যায়ের ডিগ্রি প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বহু সংখ্যক মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে লাখ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ফলে বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন এক যুগের সূচনা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
ঐতিহাসিক দিক:
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ইসলামি পণ্ডিত এবং শিক্ষাবিদদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। আইনটি পাস হওয়ার পূর্বে, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১২ সালে মন্ত্রিসভা কমিটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়।
অন্যান্য তথ্য:
বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে কামিল স্তরে কামিল হাদিস, কামিল তাফসির, কামিল আদব এবং কামিল ফিকহ বিভাগ চালু করেছে। ফাযিল স্তরে বিটিআইএস এবং বিটিএসএস কোর্স চালু আছে। সরকার ২০১০ সালে দেশের ৩১টি নামকরা মাদ্রাসায় অনার্স এবং ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করে। তবে, সরকারি পাঠ্যক্রম অনুসরণ না করার কারণে দেশের কওমি মাদরাসাগুলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেই।
বর্তমানে ৩২৩টি কামিল মাদ্রাসা এবং অন্যান্য ফাজিল অনার্স এবং কামিল মাদ্রাসা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রায় ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩১ জন শিক্ষার্থী (যার মধ্যে প্রায় ২ লাখ ছাত্রী) এবং প্রায় ২২ হাজার ৯২১ জন শিক্ষক রয়েছেন।
আরও তথ্য জানার জন্য আমরা আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিচ্ছি।