ইবনু আব্বাস

আপডেট: ৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৩ এএম

ইবনু আব্বাস (আরবি: عبدالله ابن عباس), ইসলামের নবী মুহাম্মদের একজন অন্যতম বিশিষ্ট সাহাবী। তিনি কুরাইশ বংশের হাশেমি শাখার সন্তান এবং মুহাম্মদের চাচা আব্বাসের জ্যেষ্ঠ ছেলে। ইসলামের ইতিহাসে তিনি একজন বিখ্যাত ফকিহ ও কুরআনের তাফসীরবিদ হিসেবে সুপরিচিত। মুসলিম বিশ্বে তাকে 'রইসুল মুফাসসিরীন' বা 'সাইয়্যিদুল মুফাসসিরীন' (প্রধান তাফসীরবিদ) বলা হয়।

ইবনু আব্বাস হিজরতের তিন বছর পূর্বে (কারো কারো মতে, পাঁচ বছর পূর্বে) মক্কার 'শিআবে আবি তালিব'-এ জন্মগ্রহণ করেন। কুরাইশদের গোত্র বনু হাশিমকে বয়কট করার সময় তার পরিবার 'শিআবে আবি তালিব' নামক স্থানে বাস করতো। তার পিতা আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব এবং মাতা উম্মুল ফাদল লুবাবা বিনতে আল হারিস। তার মাতা ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম কয়েকজন মহিলার মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

ইবনু আব্বাসের জন্মের পর নবী মুহাম্মাদ (সা.) তার মুখে লালা দিয়ে দোয়া করেছিলেন, আল্লাহ যেন তাকে দ্বীনে প্রজ্ঞা এবং তাফসীরের জ্ঞান দান করেন। তিনি একজন প্রখর হাদীস বর্ণনাকারীও ছিলেন; আল্লামা আইনির মতে তাঁর বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ১৬৬০ (কারো মতে ২৬৬০)। বুখারী ও মুসলিম শরীফেও তার বহু হাদীস সংরক্ষিত আছে।

তাঁর তাফসীরের বিখ্যাত গ্রন্থের নাম “তানওয়ীর আলমিকবাস মিন তাফসীর ইবন আব্বাস”। তিনি বার্ধক্যে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন এবং ৬৮ হিজরি (৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে) তায়েফে ৭১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তায়েফে তার নামানুসারে ‘মসজিদে ইবন আব্বাস’ আজও বিদ্যমান।

উল্লেখ্য, ইবনু আব্বাসের বহু হাদিস ও তাফসীর রয়েছে, যা ইসলামী আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তার জীবন ও কর্মকাণ্ড ইসলামী ইতিহাসের এক অমূল্য অংশ।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইবনু আব্বাস ছিলেন মুহাম্মদ (সা.) এর একজন বিশিষ্ট সাহাবী।
  • তিনি কুরআনের একজন বিখ্যাত মুফাসসির ছিলেন।
  • তিনি প্রচুর সংখ্যক হাদিস বর্ণনা করেছেন।
  • তিনি মক্কায় জন্মগ্রহণ করে ৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে তায়েফে মৃত্যুবরণ করেন।
  • তাঁর তাফসীরের বিখ্যাত গ্রন্থ “তানওয়ীর আলমিকবাস মিন তাফসীর ইবন আব্বাস”।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ইবনু আব্বাস

৮ জানুয়ারী ২০২৫

ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীর কথা বলা হয়েছে।