ইন্টারনেট: বিশ্বব্যাপী সংযুক্ত কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থা। এটি আইপি প্রটোকল ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করে। ইন্টারনেট ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) ভিন্ন, যেখানে WWW ইন্টারনেটের একটি সেবা মাত্র।
ইন্টারনেটের ইতিহাস: ১৯৬০ এর দশকে মার্কিন সামরিক গবেষণা সংস্থা ARPA কর্তৃক ARPANET নামে একটি পরীক্ষামূলক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু। প্যাকেট সুইচিং প্রযুক্তির ব্যবহার ARPANET এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল। ১৯৮৯ সালে ISP এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য ইন্টারনেট উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৯০ এর দশক থেকে পশ্চিমা বিশ্বে এর ব্যাপক প্রসার ঘটে।
ইন্টারনেটের প্রভাব: ইন্টারনেট যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান, ব্যবসায়, শিক্ষা, গবেষণা, বিনোদনসহ জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছে। এটি বিশ্বব্যাপী তথ্যের আধিপত্য এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য একটি অপরিহার্য মাধ্যম। তবে, ইন্টারনেটের অপব্যবহার, সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের গুরুত্বও বিবেচনা করা প্রয়োজন।
ভবিষ্যৎ: ৫G, AI এবং IoT প্রযুক্তির অগ্রগতি ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎকে আরও বেশি দ্রুত, শক্তিশালী এবং সংযুক্ত করে তুলবে। ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) এর মাধ্যমে প্রায় সকল যন্ত্রপাতি ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হবে, যার ফলে আমাদের জীবনে আরও বেশি সুবিধা ও সুযোগ তৈরি হবে।