জ্বীন ও ৩০ লাখ টাকা: আলামিন মিয়ার গ্রেফতারের গল্প
'জ্বীনের মাধ্যমে গর্ভধারণের' প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আলামিন মিয়া (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি ২০২৫, রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলামিন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর সহদেবপুরের আরজু মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরণ:
এক নারী, যার নাম গোপন রাখা হয়েছে 'শান্তা', দীর্ঘদিন ধরে সন্তান না হওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ইমুতে 'জ্বীনের মাধ্যমে কবিরাজি চিকিৎসার দ্বারা সন্তান ধারণ সম্ভব' এমন তথ্য দেখে তিনি অনলাইনে যোগাযোগ করেন। প্রতারক চক্র, যার সদস্য আলামিন মিয়া, বিভিন্ন অজুহাত যেমন 'আসন বসানো', 'জ্বীনকে ভোগ দেওয়া', 'চিকিৎসা খরচ' ইত্যাদির কথা বলে তার কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা না দেওয়ার ক্ষেত্রে জ্বীনের অসমাপ্ত কাজ ও ভয়াবহ পরিণতির কথা বলে তাকে ভীত করে রাখা হয়।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর শান্তা লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টার তদন্ত শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আলামিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলামিন মিয়া প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এই ঘটনায় সিআইডি সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমানের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তিনি এই ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছেন।