আবুল হোসেন আজাদ: একাধিক ব্যক্তি ও সংগঠনের বর্ণনা
এই নামটি একাধিক ব্যক্তি বা সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই স্পষ্টতার জন্য তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করা প্রয়োজন। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, দুইজন আবুল হোসেন আজাদ সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে:
১. আবুল কালাম আজাদ (যুদ্ধাপরাধী):
এই আবুল কালাম আজাদ (জন্ম: ৫ মার্চ ১৯৪৭), যিনি ‘বাচ্চু রাজাকার’ নামেও পরিচিত, জামায়াত-ই-ইসলামীর একজন প্রাক্তন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, টিভি ব্যক্তিত্ব এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী। তিনি ‘রাজাকার’ নামক আধাসামরিক বাহিনীর অন্যতম নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ কর্তৃক যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে তিনি হত্যা ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারী তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি পলাতক বলে ধারণা করা হয়।
তিনি ১৯৪৭ সালের ৫ই মার্চ ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বড়খারদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং কওমি মাদ্রাসা ও রাজেন্দ্র কলেজে পড়াশুনা করেন। ১৯৮০-এর দশকে ঢাকার একটি বড় মসজিদের নিয়মিত বক্তা ছিলেন এবং একটি ইসলামিক দাতব্য সংস্থার নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে তিনি এমসিসিএ নামক একটি সামাজিক দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালে তিনি আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
২. আবুল হোসেন (কবি):
এই আবুল হোসেন (জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯২২ - মৃত্যু: ২৯ জুন ২০১৪) ছিলেন একজন বাংলাদেশী কবি। ত্রিশের দশক থেকেই তাঁর লেখালিখির সূত্রপাত, এবং তিনি বাংলা সাহিত্যের কবিতা শাখায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং একুশে পদক লাভ করেছেন। তাঁর জন্ম বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার আরুয়াডাঙা গ্রামে। তাঁর পৈতৃক নিবাস খুলনা জেলার রুপসা উপজেলা। তাঁর লেখা বহু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রদত্ত পাঠ্যে আরও একজন আবুল কালাম আজাদ (ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী) সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হলেও, তিনি এই আবুল হোসেন আজাদের সাথে সম্পর্কিত নন।