আবদুল্লাহিল আমান আযমী: একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গুমের শিকার
আবদুল্লাহিল আমান আযমী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির, প্রয়াত অধ্যাপক গোলাম আজমের পুত্র। তিনি ২০১৬ সালে গুমের শিকার হন এবং ঢাকার একটি গোপন কারাগার ‘আয়নাঘরে’ বন্দী ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জন আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন, ৬ আগস্ট তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তার শিক্ষাজীবন:
আমান আযমী ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৮১ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী থেকে দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেন।
সামরিক ও রাজনৈতিক জীবন:
সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে কর্মরত অবস্থায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর তিনি তার পিতার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারে একমাত্র প্রতিরক্ষা সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার এবং জাতীয় সংগীত নিয়ে সমালোচনা করার জন্য তিনি বিতর্কের মুখোমুখি হন।
গুমের অভিজ্ঞতা:
২৪ আগস্ট ২০১৬ তাকে ঢাকার বড় মগবাজার এলাকা থেকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে নিয়ে যায়। প্রায় একই সময়ে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের সন্তানদেরও গ্রেফতার করা হয়। ‘আয়নাঘরে’ বন্দী থাকার সময়ের অভিজ্ঞতা তিনি বর্ণনা করেছেন, যেখানে তিনি অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বরখাস্তের প্রমার্জনা:
আবদুল্লাহিল আমান আযমীর বরখাস্তের আদেশ পরবর্তীতে প্রমার্জনা করে তাকে বরখাস্তের পরিবর্তে ২০০৯ সালের ২৪ জুন হতে ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হয়।