আপিলাত ট্রাইব্যুনাল

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৮ পিএম

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনাল: একটি বিস্তারিত বিবরণ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনাল। ১৯৯৫ সালের ১লা অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত এই ট্রাইব্যুনাল দেশের শুল্ক, আবগারি ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কার্যকর ভূমিকা পালন করে। অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৯) এবং দি কাস্টমস্ এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৯৬ অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীনে কাজ করে এই স্বাধীন আধা-বিচার বিভাগ।

কাঠামো ও কার্যক্রম:

ট্রাইব্যুনালটি টেকনিক্যাল সদস্য ও জুডিশিয়াল সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত। প্রতিটি দ্বৈত বেঞ্চ একজন টেকনিক্যাল সদস্য এবং একজন জুডিশিয়াল সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত, যারা যৌথভাবে রায় প্রদান করেন। সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের একাধিক দ্বৈত বেঞ্চ আছে। আপীলাত ট্রাইব্যুনাল ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) মোতাবেক একটি দেওয়ানী আদালত হিসেবে গণ্য। কাস্টমস আইন বা মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীনে কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, তিন মাসের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে আপীল করতে পারেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যায়।

ক্ষমতা ও দায়িত্ব:

ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন ক্ষমতা ও দায়িত্ব রয়েছে যেমন:

  • কোন ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং শপথ বাক্য পাঠ করে পরীক্ষা করা।
  • হিসাব বহি এবং অন্যান্য দলিলপত্র পেশে বাধ্য করা।
  • কমিশন জারি করা।

প্রেসিডেন্ট ও সদস্য:

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন “সদস্য” অথবা সমমানের কর্মকর্তাকে সরকার ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করে। দুই সদস্যের সমন্বয়ে একটি দ্বৈত বেঞ্চ গঠিত হয়। সদস্যদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকার নির্ধারণ করে। এছাড়াও একজন রেজিস্ট্রার থাকেন যিনি ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেন।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

এই ট্রাইব্যুনাল কর সংক্রান্ত বিরোধের ন্যায়সঙ্গত ও দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম ও কাঠামো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন ও নিয়মাবলী পর্যালোচনা করা উচিত। আপীল প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় দলিলপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ট্রাইব্যুনালের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৯৫ সালের ১লা অক্টোবর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা
  • শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি
  • টেকনিক্যাল ও জুডিশিয়াল সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত
  • তিন মাসের মধ্যে আপীল দায়েরের সুযোগ
  • হাইকোর্টে আপিলের ব্যবস্থা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আপিলাত ট্রাইব্যুনাল