আজিমপুর কবরস্থান

আজিমপুর কবরস্থান: ঢাকার ইতিহাসের এক নিঃশব্দ সাক্ষী

ঢাকা শহরের আজিমপুরে অবস্থিত আজিমপুর কবরস্থান বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ মুসলিম সমাধিস্থল। সপ্তদশ শতাব্দীতে ঢাকা শহরের পত্তনের সমসময়ে এর সূচনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। প্রায় ২৭ একর জমির উপর বিস্তৃত এই কবরস্থানটি দুটি ভাগে বিভক্ত - পুরাতন ও নতুন। পুরাতন অংশটি আয়তনে ছোট।

আজিমপুর কবরস্থান কেবলমাত্র লাশ দাফনের জন্যই নয়, লাশ ধোয়া এবং জানাজার ব্যবস্থাও এখানে বিদ্যমান। এই কবরস্থানে কতগুলো কবর রয়েছে তার কোনো নির্দিষ্ট হিসাব নেই। তবে ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫টি এবং সপ্তাহে প্রায় ২০০-২৫০টি লাশ এখানে দাফন করা হতো। ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের অনেক ঐতিহাসিক কবর এখানে সংরক্ষিত আছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এই কবরস্থানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ডিএসসিসি কবরস্থান ব্যবস্থাপনার সকল খরচ নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করে আসছে। অর্থাৎ, এখানে মৃত ব্যক্তির স্বজনদের আর কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয় না। কাফনের কাপড়, সাবান, লোবান, বাঁশ, চাটাই এবং কবর খোদাইয়ের সকল খরচই ডিএসসিসি বহন করে।

এই কবরস্থানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কবর রয়েছে, যাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয়। তাদের পরিচয় ও তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রতিবেদনে যোগ করা উচিত।

আজিমপুর কবরস্থান শুধুমাত্র একটি সমাধিস্থল নয়, এটি ঢাকার ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • আজিমপুর কবরস্থান ঢাকার একটি প্রাচীন মুসলিম সমাধিস্থল।
  • সপ্তদশ শতাব্দীতে এর সূচনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
  • প্রায় ২৭ একর জমির উপর বিস্তৃত।
  • প্রতিদিন গড়ে ৩০-৩৫টি লাশ দাফন করা হয়।
  • ডিএসসিসি এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে।
  • ২০১৮ সাল থেকে লাশ দাফন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

গণমাধ্যমে - আজিমপুর কবরস্থান

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে।

২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

আজিমপুর কবরস্থানে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে।