মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দান: একটি বহুমুখী পরিচয়
মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দান নামটি শুনলেই বেশ কয়েকটি ঘটনা ও প্রেক্ষাপট মনে পড়ে। এটি শুধুমাত্র একটি স্থান নয়, বরং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজনের স্থল হিসেবে পরিচিত। এই লেখায় আমরা মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব।
২০২৪ সালের মহারাষ্ট্র নির্বাচনের পর, নতুন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে ৫ ডিসেম্বর। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে বিজেপির দেশজুড়ে প্রধান নেতারা উপস্থিত থাকেন। শপথগ্রহণের আগে বিজেপির সকল বিধায়কদের বৈঠক ও কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে মহারাষ্ট্রের নেতাদের বৈঠক হয়। মহাযুতি সরকারের গঠন প্রক্রিয়া এবং মন্ত্রীপদ নিয়ে আলোচনা চলে এই সময়।
আজাদ ময়দান শুধুমাত্র রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্যই ব্যবহৃত হয় না। কৃষক আন্দোলনের সময় ও এই ময়দানে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১৮ সালে, দিল্লিতে তিনটি নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সমর্থনে সংযুক্ত শেতকরী কামগার মোর্চার উদ্যোগে হাজার হাজার কৃষক আজাদ ময়দানে প্রতিবাদ অবস্থান নিয়েছিলেন। এই প্রতিবাদে ‘কালা কানুন ওয়াপাস লো’ এই স্লোগানটি মুখরিত হয়েছিল। এছাড়াও ২০১৮ সালে আবারও কৃষকদের ঋণ মকুব, ফসলের ন্যায্য দাম এবং আদিবাসীদের জঙ্গলের জমি সংরক্ষণের দাবিতে আজাদ ময়দানে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
২০১৮ সালের মার্চ মাসে, হাজার হাজার কৃষক নাসিক থেকে পায়ে হেঁটে মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে পৌঁছেছিলেন এক লম্বা যাত্রার পর। এই ঘটনাটিও আজাদ ময়দানের ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।
আজাদ ময়দানের পরিচিতি এই ঘটনাবলী দ্বারা পরিস্ফুট হয়, যা এর রাজনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। আজাদ ময়দান কেবলমাত্র একটি স্থান নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান যা বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী থাকার কারণে আমাদের স্মৃতিতে স্থান পেয়েছে।